মুম্বাইয়ের জুহুতে টিউলিপ স্টার হোটেলের পুলসাইডে নর্থ বম্বে সর্বজনীন অথবা মুখার্জি বাড়ির পূজায় মহাসপ্তমীর সকালের অঞ্জলি দিতে আসেন রানি মুখার্জি। এর আগে অঞ্জলি নিতে দেখা যায় মুখার্জি বাড়ির আরেক সদস্য বলিউড তারকা কাজল ও তার বোন তানিশাকে।
সন্ধ্যা পূজাতে কাজলকে দেখা যায়, কাঞ্জিবারাম শাড়িতে তার ছেলে ইয়োগকে সঙ্গে নিয়ে। ‘রানির পূজা’ নামে পরিচিত এই পূজাতে হাজির হন মুখার্জি বাড়ির অন্য সদস্যরাও।
পূজায় প্রশংসায় ভাসেন ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ -এর পরিচালক কাজলের জেঠতুতো ভাই অয়ন মুখার্জি। ছোট ভাই অয়নের সাফল্যে কাজলকে সাধুবাদ জানাতে দেখা যায়।
বরাবরের মতো পূজাতে রানির সঙ্গে দেখা যায় ‘কপিল শর্মা শো’ খ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তীকে।
১৯৪৮ সালে হিন্দি সিনেমার পথিকৃৎ প্রযোজক-পরিচালক শশধর মুখার্জি তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজে এই পূজা শুরু করেছিলেন। এরপর সান্তাক্রুজ অঞ্চলের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে চলে আসে এই পূজা। এরপর থেকে পশ্চিমের বিভিন্ন স্থানে এই পূজা হয়ে আসছে।
শশধর মুখার্জি হিন্দি সিনেমার একজন পথিকৃৎ প্রযোজক হওয়ায়, তার এই পূজায় শুরু থেকেই যুক্ত হয়েছেন হিন্দি ছবির রূপালি জগতের সোনালি সব নাম।
এবারের পূজার মণ্ডপসজ্জার মূল ভাবনা হলো ‘শিস মহল’। অবিভক্ত ভারত অথবা স্বাধীন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শিস মহলের স্থাপত্য, বৈশিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়েছে পূজায়। মূলত এটি রাজস্থানের শিস মহলের বহিরঙ্গের একটা আভাস। তার সঙ্গে এই পূজামণ্ডপ সজ্জার ভেতরের অংশে ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবির বিখ্যাত মাস্তানি গান ‘দিওয়ানি হো গয়ি’র সেট। আর কিছু স্বাধীন ভাবনা-চিন্তা মিশিয়ে একটা মিক্সড ফ্যান্টাসি তৈরি করা হয়েছে এখানে।
মুখার্জী বাড়ির এবারের পূজায় সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমীর সন্ধ্যার সংগীতানুষ্ঠানে থাকছে- প্রীতম চক্রবর্তী নাইট, সোনু নিগম নাইট আর অমিত কুমার নাইট।