গায়ক অভিজিৎ, অভিনেতা বিশ্বজিৎ ও মুখার্জিদের দুর্গাপূজার পর মুম্বাইয়ের শহরতলিতে এ বছর যুক্ত হল আরও এক বাঙালি সেলিব্রেটির নাম। তিনি গায়ক কুমার শানু।
আন্ধেরির পশ্চিমে ১ নম্বর আরাম নগরের ভারসোভা ওয়েলফেয়ার গ্রাউন্ডে ‘মুম্বাই বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ -এর ব্যানারে কুমার শানুর দুর্গাপূজ এবারই প্রথম।
প্রথমবারের মতো পূজা শুরা করা প্রসঙ্গে কুমার শানু বলেন, “নব্বইয়ের শুরুতে ‘আশিকি’ সফল হওয়ার পরেই আমি ভেবেছিলাম মুম্বাইয়ে দুর্গাপূজা শুরু করব। কিন্তু যে কোনো কারণেই এতদিন তা হয়ে ওঠেনি। তাই এ বছর থেকে শুরু করলাম। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বাঙালিদের জয়যাত্রাকে দুর্গাপূজার মধ্যে দিয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আর কি।”
কুমার শানুর পূজার মূল মণ্ডপ তৈরি হয়েছে গ্রাম-বাংলার আদলে। এ জন্য নদিয়া জেলার বগুলার শিল্প নির্দেশক উত্তম সরকার মুম্বাইয়ে এসে তার সহকারীদের নিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি করেছেন ১৫ দিন ধরে। খড়ের তৈরি ধানের গোলা, সেই ধানের গোলার গায়ে গ্রাম বাংলার মেয়েদের হাতে আঁকা পট চিত্রের মধ্য দিয়ে মূল মণ্ডপের রাস্তা সোজা ঢুকে গেছে প্রতিমার কাছ পর্যন্ত।
এ ছাড়াও প্রতিমা বসার জায়গায় বাসন্তী ও হলুদ রঙের কাপড়ের পটভূমিতে চারপাশের দেওয়ালে রূপালি ও কিছু বেইজ কালারের পৌরাণিক ও পরবর্তীকালের দেব দেবীদের গথিক ফ্রেম রাখা হয়েছে। তার পাশে রাখা হয়েছে পুরোনো দিনের মন্দিরের স্তম্ভের আকরিক এফেক্টের শিল্পকর্ম। উজ্জ্বল সোনালি রঙের বেশে সাজানো চিরন্তন মূর্তির প্রতিমা।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পঞ্চমীর সন্ধ্যায় কুমার শানুর দুর্গাপূজার উদ্বোধন করেছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল।
আগামী ১ অক্টোবর-৫ অক্টোবর পর্যন্ত মূল দুর্গা মণ্ডপের উল্টোদিকে পাঁচ হাজার বর্গফুট শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে। চারপাশ ঘেরা জায়গায় প্রায় ৪৫টি স্টল দেওয়া হয়েছে। ওই ঘেরা জায়গার ভেতরেই আয়োজন করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠানের।
জানা গেছে, ২ অক্টোবর সপ্তমীর সঙ্গীতানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, উদিত নারায়ণ, শান ও গায়ক জয়রাজ সাচানরা। ৩ অক্টোবর অষ্টমীতে উপস্থিত থাকবেন, নীরজ শ্রীধর ও আর কলকাতার লগ্নজিতা। এ ছাড়াও ৪ অক্টোবর নবমীর দিন কুমার শানু ও অলকা ইয়াগনিকের গানের সঙ্গে পারফর্ম করার কথা গোবিন্দার।