প্রথম কোনো বাংলাদেশী সিনেমা টানা চতুর্থ সপ্তাহ ধরে আমেরিকায় ব্যাপক ছাড়া ফেলছে। সিনেমাটির নাম ‘হাওয়া’। কানাডায়ও ভাগ বসিয়েছে অতীতের ‘আয়নাবাজি’ ও ‘দেবী’র রেকর্ডে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবিটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক সংস্থা স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো।
২ সেপ্টেম্বর থেকে আমেরিকার শোকেইস চেইনে নিউইয়র্ক-এর জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাস থিয়েটারে টানা চতুর্থ সপ্তাহ চলছে মেজবাউর রহমান সুমনের ছবিটি। এর আগে রেকর্ড টানা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই থিয়েটারে চলেছে ‘দেবী’। অবশ্য ‘দেবী’র আয় এই থিয়েটারে দ্বিতীয় সপ্তাহেই ছাড়িয়েছে ‘হাওয়া’। ৭৩ থিয়েটারে মুক্তির পর পুরো আমেরিকায় আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশী সকল সিনেমার রেকর্ড মাত্র চারদিনেই ভেঙেছে ‘হাওয়া’।
একই দিন থেকে কানাডায় সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট চেইনে টানা চার সপ্তাহ চলছে ‘হাওয়া’। এর আগে এই থিয়েটারেই টানা চার সপ্তাহ চলেছিলো বাংলাদেশী ‘আয়নাবাজি’ ও ‘দেবী’। আর এই সপ্তাহে টরন্টোর সিনেপ্লেক্স মর্নিং সাইড সিনেমাস থিয়েটারে টানা তৃতীয় সপ্তাহ চলছে ‘হাওয়া’। কানাডায় ‘আয়নাবাজি’ মুক্তি পেয়েছিলো চারটি আর ‘দেবী’ ৬টি হলে। আর ১৩টি থিয়েটারে মুক্তির প্রথম চারদিনেই আগের আয়ের রেকর্ড ভেঙেছে ‘হাওয়া’।
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর পরিবেশনায় সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত এবং ফেইসকার্ড প্রোডাকশন নির্মিত ‘হাওয়া’ প্রথম সপ্তাহে কানাডায় ১৩টি এবং আমেরিকায় ৭৩টিসহ মোট ৮৬ হলে মুক্তি পায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে উত্তর আমেরিকায় ৩৫টি থিয়েটারে চলেছে হাওয়া। তৃতীয় সপ্তাহে চলেছে ১৩টি থিয়েটারে। আর সগৌরবে চতুর্থ সপ্তাহ চলছে ৩টি থিয়েটারে।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব।
দেশের সিনেমায় নতুন জোয়ার এনেছে ‘হাওয়া’। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, নাসির উদ্দিন খান, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। ছবিটি ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে দেশে।