অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘বিউটি সার্কাস’। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। এবার অপেক্ষার দিন শেষে রুপালি পর্দায় ধরা পড়তে যাচ্ছে তারকাবহুল চলচ্চিত্রটি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটি।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে চলচ্চিত্রটির পোস্টার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্রের প্রচারণা শুরু করেন সিনেমাটির নির্মাতা মাহমুদ দিদার।
এ সময় মাহমুদ দিদার বলেন, “মুক্তির আগেই ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা অভাবনীয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হতে যাচ্ছে। যেহেতু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, সে কারণেই সরকারের প্রতি দায়বোধ থেকে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর হাতে আমার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্রটির অফিশিয়াল পোস্টারটি উপহার দিই। চলচ্চিত্রটির নির্মাণের দীর্ঘ যাত্রায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আশা করছি আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক এই দারুণ চলচ্চিত্রটি দর্শক উপভোগ করবেন সিনেমা হলে গিয়ে।”
এ সময় নির্মাতা আরও জানান, ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় চলচ্চিত্রটির পোস্টার উন্মোচন হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান সেজেছেন সার্কাসকন্যা ‘বিউটি’রূপে।
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, “আমি বলব এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি। অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে আপনি আগে কোনো দিন যাননি; আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দেয়, যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন। এমনই একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল সার্কাস-প্রদর্শনকারী সেজে, তাও আবার এক জম্পেশ সার্কাসের স্টেজে! সার্কাসের এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি বলে।”
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে জয়া বলেন, “এটি একটি বিগ ফিল্ম। নির্মাতা মাহমুদ দিদার যে আয়োজন করে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন, তার তুলনা হয় না। বিশাল আয়োজনে সত্যিকারের সার্কাস তাঁবুর নিচে শুটিং অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল। চলচ্চিত্রটির জন্য শুভকামনা জানাই।”
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশাল যজ্ঞে দুইশ জনের নির্মাণসঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য নির্মাতা বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করেন। ২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে নির্মাতার।
চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি, প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি গান। গানগুলো গেয়েছেন চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমী, অ্যাশেজ ব্যান্ডের ইভান ও টুনটুন বাউল।