টুটুলের বিয়েতে সিদ্দিকেরও মন খারাপ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২২, ০৫:৪২ পিএম

বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে গায়ক এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের। তারা ২৩ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন। এরই মধ্যে ৪ জুলাই নতুন বিয়েও করেছেন টুটুল।জানা গেছে, এস আই টুটুলের নতুন স্ত্রীর নাম শারমিন সিরাজ সোনিয়া। এদিকে এই দুই তারকার ডিভোর্সের খবর বিষাদের ছায়া নামিয়েছে শোবিজে।

কেউ যেন মানতেই পারছেন না টুটুল-তানিয়ার বিচ্ছেদের খবরটি। অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিও কণ্ঠাশিল্পীর দ্বিতীয় বিয়েতে তানিয়ার জন্য তার কষ্টের কথা জানিয়েছেন। এবার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানও নিজের মন খারাপের কথা তুলে ধরেছেন।

সোমবার ( ১৮ জুলাই)এ অভিনেতা টুটুল-তানিয়ার সন্তানদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন।

এ প্রসঙ্গে অভিনেতা ক্যাপশনে লেখেন, “টুটুল ভাই এবং তানিয়া আপার একটি সন্তানের নাম আরশ, আমার সন্তানের নামও আরশ। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি আরশ নামের সন্তানদের জীবনে একই অবস্থা হবে। সত্যি আমরা মিডিয়া মানুষরা কি করি কি করছি কি করা উচিত এগুলো নিয়ে আরেকটু ভাবতে হবে। আসলে আমি কখনো কোনো কিছু বলতে চাইনি এইসব নিয়ে। কিন্তু আজ আর পারলাম না মনে হলো কোনো কিছু বলা উচিত আমার কেন এমন হচ্ছে?”

আরও পড়ুন: টুটুলের বিয়েতে বুক ‘হু হু’ করছে মাহির

সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, “আসলে কি আমরা অনেক খারাপ? নাকি বিধাতা আমাদেরকে এভাবেই জীবন দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমরা না হয় আমাদের জীবন আনন্দে কাটিয়ে গেলাম। আমাদের সন্তানরা কি দোষ করেছে? আমাদের জন্য তাদের এমন জীবন গড়তে হবে কেন? আজকে একটা নিউজ দেখে আমার মনটা অনেক খারাপ। তানিয়া আপু এবং এস আই টুটুলের বিবাহ-বিচ্ছেদের নিউজটি যখন আমার চোখের সামনে নিউজটি পরল তখন মনে হলো কি হতে চলেছে এসব?”

আরও পড়ুন: তানিয়াকে ছেড়ে সোনিয়াকে বিয়ে করলেন টুটুল

অভিনেতা আরও বলেন, “আমরা কি একে অপরকে একটু সরি বা থ্যাংকস বলতে পারিনা। আমার মনে হয় এই দুটি শব্দের কারণে শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীর অনেক সন্তানরাই তাদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে না। সর্বোপরি বলব তানিয়া আপু এবং টুটুল ভাইয়ের সাথে দীর্ঘ ৩১ দিন আমেরিকাতে কাটিয়েছি, দেখেছি তাদের মিল। তাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে আমি ভাবতে পারিনা। আল্লাহর কাছে শুধুই প্রার্থনা আরশ তোমরা সবসময় ভালো থেকো এবং থাকবে এটা আমার বিশ্বাস, ইনশাআল্লাহ।”