১২২ ঘণ্টা এক পোশাকে পরীমনি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনির চারদিন রিমান্ড শেষে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যদিও তদন্ত সংস্থা সিআইডির পক্ষ থেকে তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।

পরীমনি যেদিন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সেদিন তার পরনে ছিল গোলাপী ও কালোর রঙের লেডিস শার্ট এবং জিন্স। এরপর কেটে গেছে ১২২ ঘণ্টা। কিন্তু পরীমনির পোশাকের কোনো পরিবর্তন হয়নি। একই পোশাকে মহানগর হাকিম আদালতের এজলাসে দেখা গেছে তাকে। শুধু তাই নয়, তারা শারীরিক ভাষা দেখে বোঝার উপায় নেই যে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৪ দিন রিমান্ডে রাখা হয়েছিল। কোনো ক্লান্তিভাব ছিল না চোখে-মুখে। মাথা উঁচু করে আদালতের ভেতর প্রবেশ করেন তিনি। 

এক পোশাকে এত ঘণ্টা থাকা নিয়েও শুনানিতে কথা বলেছেন পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “পরীমনি একজন জনপ্রিয় নায়িকা। তিনি এক পোশাকে ১২২ ঘণ্টা রয়েছেন। তার তো একটা লাইফস্টাইল আছে।”

তবে পরীমনির পোশাক না পাল্টানোকে ‘রাজনীতি’ বলছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, “পরীমনি কাপড় চেঞ্জ না করা একটা রাজনীতি। এখানে সবাই কাপড় চেঞ্জ করেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড় চেঞ্জ করেননি।”

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, পরীমনিকে কাপড় দেওয়া হয়েছে। তিনি এখানে আসার আগে এ কাপড় পরেছেন। এর আগে তিনি অন্য কাপড় পরেছেন। 

এর আগে, দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পর একটি মাইক্রোবাসে করে পরীমনিকে আদালতে নিয়ে আসে সিআইডি। গাড়ি থেকে নামার পরেই তাকে ঘিরে ধরে পুলিশ। 

আলোচিত এই অভিনেত্রীকে একনজর দেখতে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান শত শত মানুষ। জমায়েত নিয়ন্ত্রণে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদেরও এজলাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।

শুনানি শেষে আদেশ শোনার পর আদালত কক্ষেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীমনি। এরপর আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক খুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, আপনারা মিডিয়া কী করছেন? সব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন? 

এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগীকে আটক করে র‌্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‌্যাবের সদর দপ্তরে। বুধবার রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমনিকে। বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা দায়েরের পর সেদিনই তাকে আদালতে নেওয়া হয়।