বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুধু বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনই নন, ঢাকা ঘুরে গেছেন আরও এক ঝাঁক তারকা। এদের মধ্যে টালিউডের শীর্ষ তারকা ও পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহানও রয়েছেন। এছাড়াও আছেন হলিউডের আইটেম গার্ল নার্গিস ফাখরি।
এর আগে সানি লিওন তার সামাজিক মাধ্যমে ঢাকায় আসার কথা জানালেও, অন্যরা তেমনটি করেননি। অনেকটা নীরবে এসে নীরবেই চলে গেছেন তারা।
তবে মিমি যে পোশাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন, সেই পোশাকের ছবি তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। আর লোকেশন দেওয়া আছে ঢাকা।
অন্যদিকে নুসরাত জাহান ঢাকায় আসার আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তবে অনুষ্ঠানে যোগদানের বা ঢাকায় অবস্থানের কোন ছবি বা ভিডিও তিনি শেয়ার করেননি। পাশাপাশি নুসরাতের সঙ্গে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তও ছিলেন।
ভারতের এসব তারকারা ঢাকায় এসেছিলেন ঢাকা ভিক্তিক সঙ্গীত চ্যানেল, গানাবাংলা টিভির মালিক ও সুরকার -গায়ক কৌশিক হোসেন তাপস এবং ফারজানা মুন্নি দম্পতির এক পারিবারিক আয়োজনে অংশ। সব মিলিয়ে তাদের কেউই ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকেননি।
এর আগে শনিবার (১২ মার্চ) রাতে রাজধানীর একশ’ ফিট এলাকার শেফ টেবিল কনভেনশন হলে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে তারা যোগ দেন।
জানা গেছে, অনুষ্ঠানে সানি লিওন তাপসের মিউজিক ভিডিও ‘দুষ্টু পোলাপানে’র সঙ্গে নেচে গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন। আয়োজনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা এখন ভাইরাল হয়ে ঘুরছে। কণ্ঠশিল্পী ঐশীর কণ্ঠে গাওয়া ‘দুষ্টু পোলাপাইন’ গানের সঙ্গে নাচতে দেখা গেছে সানিকে। এর সঙ্গে ছিলেন ঢাকার এক ঝাঁক শিল্পী। মূল গানটির মডেলও ছিলেন এই বলিউড তারকা।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সানি লিওন, নার্গিস ফাখরির সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দীঘি। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দীঘি জানান, অনুষ্ঠানে তিনি সানি ও নার্গিসের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য নেচেও ছিলেন।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিউটি অফিসার খায়রুল জানান, টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন সানি লিওন। তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশনা ছিল না।
তিনি আমেরিকার নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। তার কাছে বৈধ ভিসা ছিল। সব কাগজপত্র ঠিক থাকায় এ অভিনেত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত ‘সোলজার’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ঢাকায় আসার কথা ছিল সানি লিওনের। প্রস্তুতিও অনেকটা সম্পন্ন হয়েছিল।
কিন্তু শেষ সময়ে এসে অনুমতি বাতিল করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, “ভারতীয় যে অভিনয়শিল্পী দলকে ভিসা দেওয়া হয়, তাদের একজন ছিলেন সানি লিওন। কিন্তু তার সানি লিওন নামটি গোপন করে মার্কিন নাগরিক পরিচয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এভাবে পরিচয় গোপন করে অনুমতি নেয়া আইন-বহির্ভূত। এটি যখন মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে, তখন তার বাংলাদেশে কাজের অনুমতি বাতিল করা হয়।
এর আাগে ২০১৫ সালে একটি ইভেন্টে অংশ নিতে সানি লিওনের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। ওই সময় বাংলাদেশের ধর্মীয় সংগঠনগুলো প্রবল আপত্তি তুললে আয়োজক কর্তৃপক্ষ সানি লিওনের সফর বাতিলের ঘোষণা দেয়।