বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ শপথ অনুষ্ঠানে মিশা-জায়েদ প্যানেলের নির্বাচিত কোনো সদস্যকেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) প্রজেকশনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
এতে নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথ বাক্য পাঠ করান মিশা সওদাগর। এরপর ইলিয়াস কাঞ্চন অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পড়ান।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের এই ঘোষণা দেয়।
এ ছাড়া শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদও বাতিল করা হয়।
এর আগে ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ। এমনকি এই পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি। ওই আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কী না- সে বিষয়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার বিকেলে এফডিসিতে অবস্থান করে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড।
এদিন এফডিসিতে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, চুন্নু, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। তবে নিপুণ আপিল বোর্ডের সভায় থাকলেও, ছিলেন না জায়েদ খান ও চুন্নু।
এর আগে নির্বাচনে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারার পর দ্বিতীয় দফা ভোট গণনার আবেদন করেছিলেন নিপুণ। দ্বিতীয় গণনাতেও ভোটের ফল একই থাকে। পরে সংবাদ সম্মেলনে ভোটের দিন জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেন নিপুণ। শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদনও করেন তিনি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেছিলেন সোহান।
অন্যদিকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মেনে দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেন সোহান।