কবরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল। রুপালি পর্দায় দর্শক তাকে দেখলেই মনে করতেন, এটা তো আমাদের ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’।  কারণ তার চেহারায়, আচরণে, অভিনয়ে সেই বিষয়টা ছিল। খুব বেশি মেকআপ করতেন না, এমনকি চুলটাও একদম সাধারণ একটা মেয়ের মতো রাখতেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে খুব আপন হয়ে ধরা দিতেন এই নায়িকা।  জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২১ সালের এই দিনে মারা যান তিনি।

সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহুরে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তরাও কবরীকে যতটা নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবতে পেরেছিলেন, ততটা হয়তো বাংলাদেশের সিনেমা জগতে অন্য কোনো অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে পারেননি। আর সেজন্যই ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রামে জন্ম হয় কবরীর। তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবির মধ্য দিয়ে সিনেমায় অভিষেক, সে সময়ই নতুন নাম হয় কবরী।

এক সাক্ষাৎকারে কবরী বলেছিলেন, ‘সুতরাং’ সিনেমার কিশোরী কবরী দর্শকদের কাছে যে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে, সেটা তিনি ভাবতেই পারেননি। শুরুর দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে তাকে প্রচুর রিহার্সাল করতে হয়েছিল। ভাষা থেকে চাঁটগাইয়া আঞ্চলিক টান এবং কথায় নাকি নাকি ভাব দূর করতে কবরী বলেছিলেন, ‘চোখ তুলে তাকাতে সাহস পেতাম না, খুব লজ্জা পেতাম। 

সব দত্ত দা (সুভাষ দত্ত) শিখিয়েছেন; কিন্তু ‘সুতরাং’-এর পর আমাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।’ এর পরের দুই দশকে ‘রংবাজ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সুজন সখী’, ‘সারেং বৌ’-এর মতো বহু ব্যবসাসফল এবং আলোচিত সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী শফিউদ্দিন সারওয়ারকে বিয়ের পর তিনি কবরী সারওয়ার নামে পরিচিতি পান। ২০০৮ সালে তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। এর পর যখন রাজনীতিতে আসেন এবং সংসদ সদস্য হন, তখন থেকে তিনি সারাহ বেগম কবরী নামে পরিচিত।