পর্দায় যে সিনেমাটি দর্শক দেখেন, সেটির পেছনে যে কত পরিশ্রম থাকে—সেটা তারা জানতে পারেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা ধরেই নেন, শুটিং খুব সহজ একটি কাজ! আরাম করেই অভিনয়শিল্পীরা এটি করে থাকেন।
আসলে যারা এমন ধারণা করেন, তারা ভুল ভাবছেন। শুটিং কষ্টসাধ্য কাজ। সে জন্য একজন অভিনয়শিল্পীকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। কখনো কখনো গুরুতর আহত হতে হয় তাকে।
চিত্রনায়ক নিরবের কথাই ধরা যাক, সিলেটের জাফলংয়ে করছিলেন ‘কয়লা’ সিনেমার শুটিং। সেখানকার স্থানীয় একটি বিলে নৌকাযোগে শুটিং করার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। এতে তার বাঁ পায়ের তালু কেটে যায়।
নিরবের কাছ থেকে জানা গেছে, দৃশ্যের প্রয়োজনে তাকে বিলের পানিতে নামতে হয়েছিল মধ্যরাতে। পানি থেকে নৌকায় ওঠার পর নিরব লক্ষ করেন তার পায়ের গোড়ালিতে একটি জোঁক লেগে আছে। সেটি ফেলতে গিয়ে নৌকায় থাকা বাঁশের কঞ্চি ঢুকে যায় তার পায়ের তালুতে। ফলে প্রায় এক ইঞ্চি গভীর ক্ষত হয়। সেখান থেকে রাত ২টার দিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নিরবকে। তিনটার দিকে ফেরেন হোটেলে।
পায়ে ব্যথা পেয়ে নিরব যতটা না কষ্ট পাচ্ছেন তার থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন ছবির কাজ বন্ধ থাকায়। তার কথায়, “যে গতি নিয়ে আমরা টানা কাজটা করছিলাম, তাতে একটা বাধা তৈরি হলো। বিছানায় পড়ে আছি। চিকিৎসক জানালেন, কমপক্ষে তিন দিন পায়ে ভর না দিতে। অথচ বুধবার আমাদের গানের শুটিং করার কথা ছিল। আমার কারণে বুবলীও ঘরবন্দি হয়ে আছেন! বিষয়টি দুঃখজনক। পায়ের চেয়ে বেশি কষ্ট লাগছে ইউনিটের জন্য। এটাও সত্য, জোঁকটা ছিল সাপের মতো বড়। কত জলে-জঙ্গলে ঘুরেছি, এমন সাইজের জোঁক আমি আর দেখিনি।”
৭ নভেম্বর থেকে সিলেট অঞ্চলে চলছে ‘কয়লা’ ছবির শুটিং। আব্দুল্লাহ জহির বাবুর কাহিনি ও সংলাপে ছবিটি নির্মাণ হচ্ছে সিমপ্ল্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের ব্যানারে। এতে নিরব-বুবলী ছাড়াও অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করছেন রাশেদ মামুন অপু। ছবির পরিচালক সাইফ চন্দন।