তরুণ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছোটবেলায় শিশুশিল্পী হিসাবে ব্যাপক প্রসংসিত ছিলেন এই জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী। তবে নায়িকা হিসাবে দীঘি যেন খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না। প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছ তুমি নেই’ দিয়ে নায়িকা হয়ে বড় পর্দায় আসেন। শুরুতেই হোঁচট খান। এরপর আর দাঁড়াতেই পারলেন না।
যেকটি সিনেমা করেছেন সবই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। সবশেষ ৮ নভেম্বর মুক্তি পায় দীঘি অভিনীত ‘৩৬-২৪-৩৬’ নামে একটি সিনেমা। এটি ছিল দীঘির জন্য এক ধরনের অগ্নিপরীক্ষা। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। শুধু সিনেপ্লেক্সে মুক্তি দেওয়া সিনেমাটি সেভাবে আশানুরূপ ফল নিয়ে আসতে পারেনি।
অবশেষে এখন ওটিটিই দীঘির শেষ ভরসা। অবশ্য এ সিনেমাটি ওয়েব কনটেন্ট হিসাবে ওটিটির জন্যই নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে সংশ্লিষ্টরা সেটিকে বড় পর্দার সিনেমা দাবি করে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়। তবে দর্শক সিনেমাটি প্রত্যাখ্যান করেছে । যে কারণে আগামীকাল থেকে এটি অনলাইনে দেখা যাবে।
রেজাউর রহমানের পরিচালনায় নির্মিত এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
চিত্রনায়িকা হিসেবে দীঘির শুরু নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর হাত ধরে। তার নির্মিত ‘তুমি আছ, তুমি নাই’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় রেণু চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিঘী।
এর আগে কাজী হায়াৎ পরিচালিত কাবুলিওয়ালা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন দিঘী। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে দীঘি। তারপরে আরও দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে দিঘী।