জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনির শেষ ভরসা ছিল নানা শামসুল হক গাজী। তিনি চলে যাওয়ার এক বছর পার হলো আজ। শোকের এই দিনটি নানার জন্য দোয়ার আয়োজন করতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বরিশালে গেছেন পরী।
রোববার (২৪ নভেম্বর) নানা শামসুল হক গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এ কারণে গতকাল দুঃখভরা একটি পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নিয়তির ডাকে দিলে যে সাড়া ফেলে গেলে শুধু নীরবতা। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কী যন্ত্রণা!’
এদিকে প্রতিক্রিয়ায় ভক্তদের অনেকেই মনে করছেন প্রথম স্বামীর মৃত্যুর খবরে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। নায়িকা পরীমনির সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ছিলেন তার নানা। তিনি চলে যাওয়ার পরও অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলাতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শামসুল হক গাজী ছিলেন পরীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অভিভাবক। মা-বাবার মৃত্যুর পর তিনিই নাতনিকে আগলে রেখেছিলেন। নানার মৃত্যুর পর বেশ শক্ত হয়ে শোক কাটিয়েছেন এ নায়িকা।
সেসময় ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বটগাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না।
যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে।’
নানার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মরণে বরিশালে নানা বাড়িতে থাকছে নানান আয়োজন। এরই মধ্যে এক ভিডিও পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, মাটির চুলায় নিজ হাতে রান্না করছেন। নিশ্চয়ই প্রথাগত নিয়মে দোয়ার আয়োজনও থাকবে।
এছাড়া বাড়ির মানুষের জন্য পায়েস রান্না করবেন সেকথাও জানিয়েছেন পরীমনি।