তার গানে থাকে প্রেম, যৌনতার গল্প, আলোচনায় চ্যাপেল রোন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:২১ এএম
তরুণ গায়িকা চ্যাপেল । ছবি: সংগৃহীত

তরুণ গায়িকা চ্যাপেল রোন। ২৬ বছর বয়সী এই গায়িকা এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরা নতুন শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন, গ্র্যামিতে ছয় বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে চমকে দিয়েছেন। এ ছাড়া জায়গা পেয়েছেন বিবিসির করা ‘সাউন্ড অব ২০২৫’-এর তালিকায়। চ্যাপেলের শুরুটাও ইউটিউব দিয়ে। ২০১৪ সালে প্রথমবার নিজের মৌলিক গান ‘গাই ইয়ং’ ইউটিউবে প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে মুক্তি দেন এক্সটেন্ডেড প্লে ‘স্কুল নাইটস’। তখনো সেভাবে আলোচনায় আসেননি।
চ্যাপেলকে তরুণ প্রজন্ম চেনে ২০২২ সালে । না চিনে উপায়ই–বা কী, সে বছর যে একের পর এক গান প্রকাশ করেন চ্যাপেল। তবে মূলধারার সংগীতবোদ্ধাদের নজর কাড়েন গত বছর। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায় চ্যাপেলের প্রথম অ্যালবাম ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড দ্য ফল অব আ মিডওয়েস্ট প্রিন্সেস’। ৯ গানের এ অ্যালবাম দিয়েই একের পর এক পুরস্কারের আসরে মনোনয়ন পাচ্ছেন এই তরুণ শিল্পী।

অ্যালবামটি মূলত পপ রক, নিউ ওয়েভ, লোকসংগীত, রকের মিশেলে তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত আরেক গান ‘গুড লাক, বেবি!’ চ্যাপেলকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেয়। বিলবোর্ড টপ চার্ট, স্পটিফাই—সব জায়গাতেই বাড়তে থাকে রোয়ানের দাপট। রোয়ান নিজে গান লেখেন। তার গানে প্রেম, সম্পর্ক থেকে যৌনতার খোলামেলা বয়ান থাকে। 

সংগীত সমালোচকেরা মনে করেন, এ জন্যই তরুণদের কাছে তিনি এতটা জনপ্রিয়। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস মনে করে, চ্যাপেল যে ধরনের গান লেখেন, সেটা তার কণ্ঠে দারুণভাবে মানিয়ে যায়। মার্কিন গণমাধ্যমটি রোয়ানকে গায়িকা ও অভিনেত্রী লিজা মিনেলির সঙ্গে তুলনা করেছে।

চ্যাপেল রোন অবশ্য নিজে প্রেরণা মানেন ব্রিটিশ গায়িকা কেট বুশকে। এ ছাড়া এলি গোল্ডিং, লর্দে, লানা দেল রে–ও তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। মায়ামিভিত্তিক গণমাধ্যম পপ ক্রেভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চ্যাপেল জানান, এই তিন শিল্পীর গান শুনে কেটেছে তাঁর পুরো স্কুলজীবন।

তার জনপ্রিয়তার আরেক কারণ হতে পারে নানা বিষয়ে তার করা অকপট মন্তব্য। এবারের মার্কিন নির্বাচনে শুরু থেকেই যেমন তিনি কমলা হ্যারিসের পক্ষ নিয়েছেন।

এত সাফল্যের পর ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন এই তরুণ গায়িকা? ক্রুশালরিদম ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চ্যাপেল বলেন, আপাতত তিনি কিছুই ভাবছেন না। গান, কনসার্টের টানা ব্যস্ততার মধ্যে কীভাবে সুস্থভাবে বেঁচেবর্তে থাকা যায়, সেটাই এখন তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যাপেলের ভাষ্যে, ‘আমাকে সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় করা শিখতে হবে। তবে শ্রোতাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। এখন আমাকে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে।’

সবচেয়ে ভালো লাগে কনসার্ট ট্যুর। কারণ, সেখানে সরাসরি শ্রোতাদের সামনে গাওয়া যায়। একটা সময় অর্থকড়ি ছিল না। ফলে গান নিয়ে ভাবার আগে বৈষয়িক নানা বিষয়ে মন দিতে হতো। এখন তো আর সে অবস্থা নেই। তাই নিজের গান লেখায় আরও বেশি মনোযোগী হতে চান চ্যাপেল।

সামনে নেটফ্লিক্সের বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানে চ্যাপেলকে দেখা যাবে। যেখানে মূল ভূমিকায় থাকবেন বছরের আরেক আলোচিত গায়িকা সাবরিনা কার্পেন্টার। ‘আ ননসেন্স ক্রিসমাস উইথ সাবরিনা কার্পেন্টার’ অনুষ্ঠানটি মুক্তি পাবে আগামী ৬ ডিসেম্বর।