নিষিদ্ধ ‘জুয়ার’ প্রচারণায় মত্ত বুবলী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
শবনম বুবলী: ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিউটি কুইন শবনম বুবলী। সুপারস্টার শাকিব খানের বদৌলতে ফিল্মপাড়ায় নিজের শক্ত একটা অবস্থান তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী। সংবাদ পাঠিকা থেকে ঢাকাই ছবির নায়িকা হয়ে বাজিমাত করেছেন এই নায়িকা।

 কক্সবাজারে চলছে তার একটি নতুন সিনেমার শুটিং। সম্প্রতি চলে গেল আলোচিত এই নায়িকার জন্মদিন। এবার কাজের খবর নয়, হঠাৎ করে জুয়ার অ্যাপের প্রচারণামূলক একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন, সেই জুয়ার অ্যাপ নিয়ে মত্ত এখন বুবলী। পাওয়া গেছে প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার খবরও।

প্রচারণামূলক সেই ভিডিওতে বুবলীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বুবলী।....একজন শুভেচ্ছাদূত। তোমরা সবাই কি তৈরি আছ? অনলাইন স্পোর্টস এবং ক্রিকেট অভিজ্ঞতাকে নেক্সট লেভেলের নিয়ে যাওয়ার জন্য।...শুধুমাত্র একটি আঙুলের ছোঁয়ায়। সুযোগ হাতছাড়া কোরো না।....জেতার আনন্দ উপভোগ করো, নিরাপত্তার স্বার্থে।...যেখানে খেলা শুধু জেতার জন্য।’

সাধারণত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী তার ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘর সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন। তবে জুয়ার অ্যাপের প্রচারণামূলক এই ভিডিওটি পোস্টের পর মন্তব্যের ঘর বন্ধ করে রেখেছেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে ভিডিওটি পোস্ট করার পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন। কেউ কেউ বলেন, বুবলীও তাহলে জুয়ার অ্যাপের প্রচারণা শুরু করলেন! নাজমুন নাহার নামের একজন লিখেছেন, ‘শেষমেশ বুবলিও কি জুয়ার প্রমোশন করল।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি। ঢালিউডের জুয়ার অ্যাপের প্রচারণায় কোনো নায়িকার অন্তর্ভুক্তি এবারই প্রথম নয়। এর আগে নুসরাত ফারিয়া, পরীমনি, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহির মতো তারকাদেরও দেখা গেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া ও বাজি ধরা নিষিদ্ধ। প্রচার-প্রচারণাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গেল জুন মাসে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষকদের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে তারকাদের এ ধরনের বিজ্ঞাপনচিত্রে নেওয়া হয়। এতে সাধারণ মানুষ তারকাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে জুয়ার ফাঁদে পা দেন।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেন বলেছিলেন, ‘জুয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করে। সেখান থেকে কিছু অংশ বিজ্ঞাপনে ব্যয় করে। তারকারাও নৈতিক ব্যাপারটা মাথায় রাখছেন না।’

এর আগে অনলাইনে জুয়ার বিস্তার নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে টিআইবি।

এদিকে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘খেলায় চলছে জুয়ার বিজ্ঞাপন, দেখেও দেখছে না কেউ’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ নং অনুচ্ছেদে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।