নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আলোচিত নায়ক জায়েদ খান।
ভাইরাল এই নায়ক বর্তমানে বিদেশ রয়েছেন। সেখান থেকে ফেসবুকে সংগীতশিল্পী মনি কিশোরকে নিয়ে লিখেছেন, ‘কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর। ছোটবেলায় কত গান শুনেছি তার। দেখলেই বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরতেন। ৪ দিন ধরে নাকি মৃত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে ছিল। আজকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হায়রে শিল্পী জীবন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
জায়েদ খানের পোস্টের কমেন্টে নাজিম খান নামে একজন লিখেছেন, ‘আমার গানের গুরু স্বনামধন্য গীতিকার, সুরকার ও
কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর আমাদের মাঝে আর নেই। ভাগ্যে কি নির্মম পরিণতি দাদাকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারলাম না। এতটা বছর এত স্মৃতি কি করে ভুলে থাকবো দাদার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন পরপারে ভালো থাকে।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘কি দুঃখজনক। আমাদের সবার উচিৎ পরিবারকে সময় দিয়ে পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় করা।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘লিখবো কি বলবো কোনো ভাষা জানা নাই ভাই। আমাদের জীবনের বড় পাপ আমাদের শিল্পী জীবন এটাই।’
কমেন্টে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘সেদিনও দেখা হলো কথা হলো, দাদা খুব ভালো মনের মানুষ ছিলো। এভাবে তার বিদায়টা মেনে নিতে পারছি না।’
মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত, অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা, তারই লেখা।
এদিকে হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগ মাথায় নিয়ে এই মুহূর্তে কানাডায় রয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কোটা সংস্কার আন্দোলেনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কানাডায় অবস্থান করছিলেন তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেতা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।