ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা দুটি হলের কাজ সম্পন্ন হলেও চালু করার আশ্বাসে কেটে গেল প্রায় ৪ বছর। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হল দুটি চালু করার আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ৪২ মাস অতিক্রান্ত হলেও বাস্তবে দেখা যায়নি কোনো অগ্রগতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। বিপরীতে হল রয়েছে ২টি (অগ্নি-বীণা, দোলন-চাঁপা) যেখানে আসন সংখ্যার পরিমাণ ৪২৮টি। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া নতুন হলের আসন সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। হল দুটি চালু হলে শতকরা ৮০ভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানা গেছে ৷ তবে হল চালুর বিষয়ে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কথা রাখতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ে আবাসন সংকট নিরসন চেয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবারই উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা সরে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী তাসলিমা জিনিয়া বলেন, আমরা নতুন কোন ক্যালেন্ডারক্যালেন্ডারে যেতে চাই না। ১ নভেম্বরের মধ্যেই আমরা আমাদের নবনির্মিত দুটি হল চালু চাই।
উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, “প্রায় ৪ বছর ধরে হল চালুর আশ্বাস দিয়ে আসলেও বস্তুত তা বায়বীয় আলাপ মনে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বাইরের বিভিন্ন মেসে থাকছে এবং অনেক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ শহরে অবস্থান করছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ নয়। যার বাস্তব প্রমাণ হলো গত বছর আমাদের বন্ধু তৌহিদের নির্মমভাবে খুন হওয়া। আমরা অনতিবিলম্বে আমাদের নতুন হল দুটি চালু দেখতে চাই নয়তো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, চলতি বছরে নভেম্বরের আগেই হল দুটো চালু করে দেওয়া হবে।
হল চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, “করোনা মহামারির কারণে সবকিছুই বন্ধ আছে। হলগুলোর বিভিন্ন সেক্টরে জনবল নিয়োগের চেষ্টা চলছে। সরকারি ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই নতুন হল দুটি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”