সেশনজটে আটকে আছে ফল প্রকাশ

মোকছেদুল মুমীন, জাককানইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১, ১২:২১ পিএম

২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও বিভাগটি ফল প্রকাশ করেনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগটিতে রয়েছে দীর্ঘ সেশনজট। এই সেশনজটের নেপথ্যে শিক্ষকদের কোন্দল, রাজনীতি বা অন্যান্য বিষয় নয়, দায়ী কেবল ফল প্রকাশে বিভাগটির দীর্ঘসূত্রতা।

এদিকে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা ফল দিতে স্বজনপ্রীতি করেন।

পরীক্ষার ফল প্রকাশে এত বিলম্ব কেন, জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. আতিজা দীল আফরোজ প্রতিবেদককে বলেন, “এটি ফোকলোর বিভাগের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আপনি জানতে চান কেন?”

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে চাওয়া বললে তিনি বলেন, “তাহলে শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে কথা বলবে, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলব।”

এই সেশনের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এমনিতেই দুই বছর থেকে আটকে আছি তারপর প্রায় দুই বছর হলো পরীক্ষার রেজাল্ট পাচ্ছি না। এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান বলেন, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি জানে, আবার পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আগে খুলুক। সবার ভেতরে চাপা ক্ষোভ, ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। শিক্ষকদের অবহেলায় আটকে আছে আমাদের রেজাল্ট।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “শিক্ষকদের অপারগতার জন্য আমি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যদি আমার কিছু হয় তাহলে কি বিশ্ববিদ্যালয় এর দায়ভার নেবে? অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট বহু আগেই সব ফল দিয়ে দিয়েছে। রেজাল্ট না দেওয়ায় আমরা সেশনজটে আটকে আছি। এত দিনে অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ করোনা শুরুর আগেই আমাদের সেশনের অনেকেরই অনার্স শেষ হয়েছে।”

এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. বাকী বিল্লাহ বলেন, “আমি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি। এখন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।”

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “আমি এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। করোনা পরিস্থিতির জন্য তাদের বিভাগের ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এখন দপ্তরগুলো খুলে গেছে। কাজেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই বিষয়ে উপাচার্য ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমি খুব দ্রুতই দেখব।”