শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশ উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় হলের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে হল প্রশাসন। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের আল ইসলাম হতে একটি সম্মেলনে সৈয়দ মুজতবা আলী বক্তব্য দেন। সেখানে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলা হয়। ফলে মুজতবা আলীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। বিদেশে গিয়েও তিনি দেশের মান ইজ্জত সমুন্নত রেখেছেন। রাষ্ট্রভাষার এক অগ্রদুত ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মোমেন বলেন, “সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন ‘ধনের জন্য চেষ্টা করা থেকে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করা অনেক উত্তম।’ এটা সবার মনে রাখা উচিত। আর এ হলে যারা থাকবে তারা এটাও মনে রাখা উচিত। মুজতবা আলী আরও বলেছেন, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।’ সুতরাং তোমরা বই কেনার ও বই পড়ার মনমানসিকতা গড়ে তোল। তাহলে মুজতবা আলীর স্মৃতির প্রতি আমরা একটা দায়বদ্ধতা সম্পন্ন করতে পারব।”
ড. মোমেন আরও বলেন, “শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার একটা দরদ আছে। এটার প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমরা ছাত্রজীবনে সেই ৬০ -এর দশকে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো হলেই যে সব হয়ে যাবে তা নয়। আমাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। আমি শুনে খুব খুশি হয়েছি যে এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দুই নম্বর হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধনবাদ জানাই।”
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র সৈয়দ রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম ও প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল প্রমুখ।
এর আগে, সকাল পৌনে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।