শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সময় পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, “দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকারি অফিসের সময় সাময়িক পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ছুটি বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সময় পরিবর্তন করার চিন্তা করা হচ্ছে না।”
সোমবার (২৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (ইবার) সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্কুল-কলেজের ছুটি শুক্রবার-শনিবারের বদলে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার কেন করা হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার অনেক কর্মজীবী অভিভাবক বাসায় থাকেন না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ছুটি কাজে আসে না। এটি আমাদের প্রস্তাবনায় থাকলেও সেটি বাতিল করা হয়েছে। তাই শুক্রবার-শনিবার ছুটি রাখা হয়েছে।
চলমান বৈশিক সংকটের কারণে সরকারি অফিসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এ সংকট কেটে গেলে সেটি আবার পরিবর্তন করা হবে। আগামী বছর থেকে আমাদের নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন কার্যকর করার কথা ছিল। সেটি এখন থেকে কার্যকর করা হয়েছে।”
শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা ঠেকাতে কাউন্সেলিং কার্যক্রম জোরদার করতে শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের সংগঠন উপাচার্য পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যেকোনো আত্মহত্যাই অনাকাঙ্ক্ষিত। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক প্রত্যাশার চাপ শিক্ষার্থীদের ওপর বেশি থাকে। বাবা-মার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে।”
তিনি আরও বলেন, “করোনার প্রভাবেও শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করতে হবে। মাধ্যমিকের ২ লাখ শিক্ষককে কাউন্সেলিং বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বিদ্যালয়ে দুইজন কাউন্সেলিং অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকবেন।”