‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০৬:৫১ পিএম

সম্প্রতি ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নৃগোষ্ঠীর মানুষের ভূমি, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে আদিবাসী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাখী মং বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানের ৬ (২) ধারায় উল্লেখিত আছে ‘এ দেশে বসবাসকারী সব আদিবাসী বাঙালি বলিয়া বিবেচিত হবে।’ এ ধারা অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশে বিভিন্ন আদিবাসী জাতিসত্ত্বা বসবাস করেন। তাদের সাংবিধানিক অধিকার চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃত হতে হবে।”

আদিবাসী ইউনিয়নের উপদেষ্টা আসলাম খান বলেন, “মধুপুর, শেরপুর, মহাদেবপুর, দিনাজপুর, নওগা, সিরাজগঞ্জসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা বন্ধের দাবি জানাই। মধুপুরে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে, বন উচ্ছেদ করে ইকোপার্ক ও লেক করা হচ্ছে। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা মধুপুরের ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন সারা দেশের আদিবাসীদের নিয়ে মধুপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।”

এ সময় তারা বেশ কিছু দাবি পেশ করেন। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো– এই জনগোষ্ঠীর লোকেদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে; তাদের ভূমি, ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং উচ্ছেদকৃতদের আদিভিটায় পুনর্বাসিত করতে হবে।