রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে এক ছাত্রের বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আশিক উল্লাহ। তিনি ওই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার (২৯ জুন) আনুমানিক পৌনে এগারোটায় বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকার ক্লাস চলছিল। এমন সময় অভিযুক্ত আশিক ক্লাসরুমে ঢুকে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে মাস্টার্সের পরীক্ষা বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানের এখতিয়ারে রয়েছে বলে শিক্ষিকা ক্লাসরুম ত্যাগ করতে চান। এ সময় পথরোধ করে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করেন এবং দরজা লাগিয়ে দিতে উদ্যত হন আশিক। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের হত্যার হুমকি দেন বলে শিক্ষার্থীদের দাবি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আশিক উল্লাহর বহিষ্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভাগের সকল শিক্ষার্থী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে আশিককে বিভাগের অফিস হেফাজতে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে আশিককে প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের ম্যামের অপমানের সঠিক বিচার আমরা আজকের মধ্যেই চাই। উপাচার্যের ক্ষমতা বলে ৭ দিনের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীকে পদত্যাগ করাতে পারেন। ওই আইনের আওতায় এনে আজকের মধ্যে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।”
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, “শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা অবশ্যই অন্যায়। আমরা জরুরি একাডেমিক মিটিং ডেকেছি।”