বশেমুরবিপ্রবিতে জামরুলের ব্যাপক ফলন

মেজবা রহমান প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২, ০৮:২৯ এএম

চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। প্রতিবছর তীব্র দাবদাহ আর কালবৈশাখীর মধ্যেই বাহারি ফল নিয়ে হাজির হয় এই মাস। দেশের অধিকাংশ সুস্বাদু ও স্বল্প মূল্যের ফলের দেখা শুধু এ মাসেই মেলে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন জেলায় মৌসুমি ফলের ব্যাপক ফলন হয়েছে৷ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (বশেমুরবিপ্রবি) এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন ফলে ভরে উঠেছে জাতির পিতার নামে গড়ে ওঠা এ ক্যাম্পাস। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, খেজুর, পেয়ারা, লেবুসহ হরেক রকমের ফলে ভরে উঠেছে ক্যাম্পাস।

এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে জামরুলের। দেশি-বিদেশি, রংবেরঙের রসাল জামরুলের ছড়া ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দেশি-বিদেশি প্রায় অর্ধশত গাছে  জামরুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা চত্বর, উপাচার্যের বাসভবন, জয় বাংলা চত্বর, হতাশার মোড় ও কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন গাছগুলোয় জামরুলের ফলন বেশ লক্ষণীয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হৃদয় সরকার জানান, এ বছর ক্যাম্পাসে গত বছরগুলোর চেয়ে জামরুলের বেশি ফলন হয়েছে। এতে একদিক থেকে যেমন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বেড়েছে, আরেক দিকে শিক্ষার্থীদের জ্যৈষ্ঠ মাসের অন্যতম ফলের জোগান নিশ্চিত হয়েছে ।

আরেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের মতে, সারা দিন পড়াশোনার ব্যস্ততা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে জামরুল আহরণের মজাই আলাদা। রসাল এই জামরুল তীব্র তাপদহনের ক্লান্তি কিছুটা হলেও দূর করে।

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা রহমান বলেন, “আসলে পরিচর্যা করলে যেকোনো গাছেরই উৎপাদন ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যথাসময়ে গাছগুলোর প্রুনিং ও কাটিং করা হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতেও জামরুলের পাশাপাশি অন্যান্য ফলদ গাছের সুষ্ঠু পরিচর্যার অব্যাহত থাকবে।”

জাতির পিতার নামে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে দেশের সুন্দর ক্যাম্পাসগুলোর একটি। এরই মধ্যে হাজারো প্রজাতির সর্বোচ্চ বৃক্ষরোপণে সরকারের কাছ থেকে স্বর্ণপদক অর্জন ছাড়াও কুড়িয়েছে নানা সম্মাননা।