১৮ পেরিয়ে ১৯ এ শাবিপ্রবি‍‍`র ‘কিন স্কুল’

শাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম

সফলতার সঙ্গে দীর্ঘ ১৮টি বছর অতিক্রম করে ১৯ এ পা রেখেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’র অন্যতম উইং ‘কিন স্কুল’।

রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সংগঠনের সেক্রেটারি অব ওয়েব মো. সালমান আসাদ্দু এ বিষয়টি জানান।

মো. সালমান আসাদ্দু বলেন, “শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে কেক কেটে শাবিপ্রবির কিন স্কুলের ১৮ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। কেক কাটা শেষে কিন স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে কিন নিয়ে বক্তব্য প্রদান, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, 'কিন স্কুল' শিরোনামে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কনে বিজয়ীদের মঞ্চে পুরষ্কার বিতরণ এবং ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।”

অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে কিন স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দলীয় নৃত্য, দ্বৈত নৃত্য, ফ্যাশন শো, কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও ম্যাশাপ গান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ অংশে শিক্ষার্থীদের খাবার প্রদান ও সমাপনি বক্তব্য প্রদান করা হয়। সবশেষে ফটোসেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে কিনের সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিমের সভাপতিত্বে ও কিন এর সামাজিক সচেতনতা ও প্রচার সম্পাদক ইসরাত জাহান রিফা, কিন স্কুলের শিক্ষার্থী শিমা এবং আয়েশার সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিমাদ্রি শেখর রায় এবং বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দীকা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি রেজওয়ান রিজভী ও নেপোলিয়ন তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক এরোভিন আল নাইম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবা মোস্তফা সৌরভী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আদিবা মালিহাসহ কিনের সদস্যবৃন্দ এবং শুভাকাঙ্খীরা।

‘চেনা হোক প্রতি মুখ শিক্ষার আয়নায়’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় কিন স্কুল। কিন এর পাঁচটি উইংসের মধ্যে কিন স্কুল হলো অন্যতম।

সমাজের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে এবং বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাদের প্রস্তুত করাই কিন স্কুলের প্রধান লক্ষ্য।