ইবিতে ২ দিনব্যাপী বৈশাখীয়ানা উৎসব উদ্‌যাপিত

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম

হালখাতার ঐতিহ্যকে ঘিরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২ দিনব্যাপী ‘বৈশাখীয়ানা উৎসব’ উদ্‌যাপন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদ্‌যাপন উপলক্ষে গ্রামীণ হালখাতার ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নবিতান-ইবি পরিসর’ এ উৎসবের আয়োজন করে।

রোববার (২০ এপ্রিল) ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ আয়োজন উৎসব শুরু হয়।

প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, তরুণ উদ্যোক্তা গড়তে বিভিন্ন স্টল বরাদ্দসহ বটগাছকেন্দ্রিক যে মেলার প্রচলন ছিল, তা বটতলায় উন্মুক্ত মঞ্চের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে সংগঠনটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুতির পরশ, পাতে বাঙালিয়ানা, রূপরত্ন, মাচাং রসনা বিলাশসহ ২২টি স্টলে তরুণ উদ্যোক্তারা কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী তাঁতের লুঙ্গি, পান্তাভাত,  পিজ্জা, জিলাপি, তিলের খাজা, মিষ্টি, আচার, লুচি ও পায়েসসহ নানা খাবার বিক্রি করছেন। এ ছাড়া বই, ক্যালিগ্রাফি, ফেসওয়াশ, বডি স্প্রে, চুড়ি, কানের দুল, গলার হারসহ মেয়েদের বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি করতে দেখা যায়।

এ ছাড়া নজরকাড়া নাগরদোলা, চরকি, পল্লীগীতি ও বাউল গানসহ নানা লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশকে উৎসবমুখর করে রাখে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পবন বণিক বলেন, “আমি ক্যাম্পাসে আসার পর এই প্রথম এমন আয়োজন দেখতে পেয়েছি। বেশ উপভোগ করছি। বাঙালি ঐতিহ্য প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন অধিক হওয়া প্রয়োজন।”

স্বপ্নবিতান ইবি পরিসরের আহ্বায়ক আরিফা ইসলাম ভাবনা বলেন, “প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে আমরা আমাদের বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে নাগরদোলা, চরকির ব্যবস্থা করেছি। আমরা হালখাতার প্রচলনে প্রতিটি স্টলে টোকেনের মাধ্যমে হালখাতা পদ্ধতিতে বেচাকেনার ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া বটতলা কেন্দ্রিক মঞ্চ তৈরি ও সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের মূর্তপ্রতীক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।”

এ আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে আরিফা ইসলাম ভাবনা বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে আধুনিক সমাজে বসবাস করি। আমরা বটতলাকেন্দ্রিক গান, নাগরদোলা ও চরকিতে চড়া এমন মেলা দেখতে অভ্যস্ত না। তাই এই বিষয়গুলো তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করেছি।”