গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে নিয়োগ পেলেন জাবির মামুন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম

সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই কমিশনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সেখান বলা হয়, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা যেতে পারে।

কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত।

এ বিষয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই কমিশন কাজ করবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় আসার জন্য শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহের কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করব এবং এই সংকটগুলো নিরসনের চেষ্টা করব।”

উল্লেখ্য, এই কমিশন অবিলম্বে তার কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সবার মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন, সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তাদের কেউ অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। এই কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।