বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯৩ পরিবারে সবজি চারা ও ছাগল বিতরণ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ১১:৫০ এএম

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ৯৩ কৃষক পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনে সবজি চারা ও ছাগল বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং স্থানীয় সংগঠন প্রশাখার সহযোগিতায় এসব বিতরণ করা হয়। 

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি ও অর্থনৈতিক জীবনে দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং উৎপাদন চালু করার লক্ষ্যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, কৃষকদের পুনর্বাসনে ৯৩টি ছাগল, ১ প্যাকেট বীজ এবং এক ব্যাগ করে চারা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সয়েল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান মুকিত। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনিন জাহান, উপজেলা লাইভস্টক অফিসার এ টি এম ফয়জুর রাজ্জাক আজাদ,  প্রশাখার সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্রশাখার বর্তমান সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্রশাখার সাবেক সভাপতি শংকর রায়,  প্রশাখার উপদেষ্টা মাসুদ হাসান। 

এতে আর্থিক সহযোগিতা করেছে বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি, বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মানি, আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ৯৭-৯৮ ব্যাচ অ্যাসোসিয়েশন, বাকৃবি এবং ইউনাইটেড ফর হিউম্যানিটি, নালিতাবাড়ী। 

অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মুন্না বলেন, অ্যাগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার আড়াই মাসের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৮০০ জন কৃষক ধানের চারা, সার ও কীটনাশক প্রদান এবং শনিবার শেরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীর ৯৩টি পরিবারে ছাগল, সবজির বীজ ও চারা বিতরণ করেছে। আগামী ডিসেম্বরে উত্তরবঙ্গের রংপুরের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করবে ইনশা আল্লাহ।

কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি তাদের এ মহৎ উদ্যোগে সাধুবাদ জানাই। কৃষকদের যেকোনো সহায়তায় বাকৃবি পরিবার পাশে থাকবে।”