ঢাবিতে ছাত্রদলের পোস্টারিং, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পোস্টার লাগিয়েছেন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। 

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে আবাসিক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।

জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, একাত্তর হলে হবে না’, ‘টু জিরো টু ফোর, লেজুড়বৃত্তি নো মোর’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা গত ১৭ জুলাই ছাত্রলীগকে হল থেকে বের করে দিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সেদিনই হলের প্রভোস্টের কাছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ফের আমাদের হলে রাজনীতি ঢোকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা মেনে নেব না। আমরা আবার গণরুম, গেস্টরুম চাই না। কোনো ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের রাজনীতির দিকে ফিরে যেতে চাই না।”

তারা আরও বলেন, “হলের বাইরে তথা ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি-না সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট। কিন্তু হলে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না— সেই বিষয়ে সেই জুলাইয়ে হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এখন আমরা আবারো দেখছি, হলের গেটে পোস্টার লাগানো হয়েছে।”

ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, “এমনভাবে লাগানো হয়েছে দেখে মনে হবে এটা কোনো পার্টি অফিস। নতুন কোনো একজন শিক্ষার্থী এসে বুঝতেই পারবে না এটা আবাসিক হল নাকি পার্টি অফিস। এগুলো হলে রাজনীতি পুনরায় প্রবেশের প্রাথমিক ধাপ বলে আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

জানা যায়, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওনের নেতৃত্বে টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং অধিকাংশ আবাসিক হলের প্রধান ফটক ও দেয়ালে এসব পোস্টার লাগানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।