বান্দরবানে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য ও সহযোগী হিসেবে আটক হওয়া ২৮ ব্যক্তির জামিনের আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোসলেহ উদ্দিন তাদের জামিন বাতিল করেছেন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) একই আদালত ৩২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। কিন্তু পরে জামিননামা পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রত্যেক আসামির জামিনদার একই ব্যক্তি। তিনি হলেন, বান্দরবান জেলা সদরের বাসিন্দা মো. খলিলের ছেলে ইমান হোসেন। এ কারণে জামিন বাতিলের আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে বিভিন্ন সময়ে রুমা, থানচি, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ২৮ জনের জামিনের আবেদন করা হয়। ৪টি মামলায় গ্রেপ্তার এই ২৮ জনের জামিনের আবেদন আদালত মঞ্জুর করেন। তবে আসামির সংখ্যায় জামিন আবেদন ছিল ৩২ জনের। চারজনের নাম একাধিক মামলায় থাকায় এই সংখ্যা ৩২ হিসেবে বলা হয়েছিল।
জামিননামা বাতিলের আদেশে বলা হয়, আসামিরা বিভিন্ন জেলার হলেও তাদের এলাকার কোনো জামিনদার নেই। এ ছাড়া কোনো আসামির বাড়ি বান্দরবান জেলায় নয় অথচ জামিনদার এখানকার এবং একই ব্যক্তি। জামিনের শর্ত অনুযায়ী আসামিদের স্ব স্ব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জামিনদার হিসেবে প্রদান না করায় এবং এ কারণে জামিনের শর্ত লঙ্ঘিত হওয়ায় জামিননামা বাতিলের আদেশ দেয়া হলো।
[99331]
সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গত বছর বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করেছিল র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। থানচি থেকে ২১ জন, রুমা থেকে চারজন, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে দুইজন ও বান্দরবান সদর থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার এসব ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।