৫ স্টেশনে সিগনাল ক্যাবল চুরি, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৮:৩০ এএম

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া স্টেশনসহ পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নতুন পাঁচটি স্টেশনের ক্যাবল চুরির ঘটনায় সিগনাল সিস্টেম বিকল হয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। লাইন স্থির করে রাখায় ট্রেন কোনো প্ল্যাটফর্মে থামতে পারছে না। এতে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতেও ওই রেললাইনে ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করতে দেখা যায় যাত্রীদের।

এর আগে, ২২ আগস্ট মাওয়া স্টেশনটি ক্যাবেল চুরি হয়। তবে গত এক মাসেও তা পুনঃস্থাপন হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের সিবিআই সংকেত সিস্টেমের আওতায় থাকা ৫টি স্টেশনের ক্যাবল চুরি হওয়ায় সিগনাল বিকল হয়ে পড়েছে। কম্পিউটার দিচ্ছে রেড সিগনাল। তাই স্টেশনগুলোতে ট্রেন যথাযথ স্থানে থামতে পারছে না। আর দ্রুতগতির রেললাইনের এই আধুনিক স্টেশনগুলো দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, আগে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর স্টেশন ও নিমতলা স্টেশনের ক্যাবল চুরি হয়। সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর মাদারীপুরের শিবচর স্টেশনে চুরি যায় ক্যাবল। এর আগে পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের পদ্মা স্টেশনের তারও চুরি যায়। স্টেশনগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিগনালের বক্সও। এতে যাত্রীরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। তাদের প্লাটফর্মে ওঠা-নামার জন্য অস্থায়ী সিঁড়ি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

মাওয়া স্টেশনে মধুমতি ট্রেন থেকে নামা আহসান হাবীব নামের এক যাত্রী বলেন, ‘প্লাটফর্ম ছেড়ে ট্রেন মাঝখানে থামছে। এতে করে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন থেকে ওঠানামা করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রেন থেকে নেমে প্লাটফর্মে উঠতে হচ্ছে লোহার মই বেয়ে। আধুনিক যুগে এসে এভাবে ট্রেন থেকে ওঠানামা করতে হবে তা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।’

মৌমিতা বেগম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘রেলের ট্রাফিক সিগন্যালের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হয় কীভাবে? ট্রেন মাঝখানে থামায় মালামাল নিয়ে নামতে-উঠতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের।’

স্টেশনগুলোর দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ম্যানুয়ালি লাইন স্থির করা হয়েছে। মাসখানেক ধরে এই সঙ্কট শুরু হয়ে এখনো চলমান। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মেরামতের কাজ শুরুর পাশাপাশি স্টেশনগুলোতে ৬ জন করে প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায়। শিগগিরই সমস্যা সমাধানের আশা কর্তৃপক্ষের।

মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার হাসানুর রহমান বলেন, “সিগন্যালিংয়ের তার চুরি হওয়ার কারণে সমস্যা হচ্ছে। ট্রেনগুলো তার নির্ধারিত গতিতে চলতে পারছে না। ক্রসিংয়ে বেশি সময় লাগছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। পদ্মা সেতু অতিক্রম করে এখন চার জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এরমধ্যে দুই জোড়া ট্রেন মাওয়ায় থামছে।”

সূত্র : সময়নিউজ