অসমাপ্ত ব্রিজের কাজ, ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০২:১৩ পিএম

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ নির্মাণের কাজ অসমাপ্ত রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে চলাচলের জন্য তৈরি করা কাঠের একটি নিচু ফুটওভার সেতু পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষক ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বর্তমানে খালটি পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় শাহাগোলা ইউপি স্টেশন বাজার রাস্তায় ২০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। গত বছরের নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল)। দরপত্রের মাধ্যমে জুয়েল ইলেকট্রনিক্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন চলতি বছরের মে মাসে। এরপর থেকে নির্মাণ কাজের কোনো অগ্রগতি ছিলো না।

বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে যাওয়ার অজুহাতে নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। কাজ শুরুর আগে চলাচলের জন্য ঠিকাদার স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। যা একটু পানি বৃদ্ধি পেতেই পানিতে তলিয়ে গেছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন সাহাগোলা, “ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তা। এই রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ ভেঙে ফেলায় থমকে পড়েছে এই অঞ্চলের জীবনযাত্রা। ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বর্তমানে সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে আদৌ ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে কিনা সেই ধোঁয়াশার মধ্যে আমরা গ্রামবাসীরা।”

সাহাগোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম মামুনুর রশিদ বলেন, “ব্রিজ নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের অবহেলায় পথচারীদের পাশাপাশি জরুরি পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ী, কৃষক ও প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যদি কাঠের তৈরি সেতুটি একটু উঁচু করে দিতো তাহলে ছোট ছোট যানবাহন ও মানুষ সহজেই চলাচল করতে পারতো। আমি চাই ঠিকাদার দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করুক।”

ব্রিজের ঠিকাদার দিদারুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কাজের সময়সীমা আছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি শুকিয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে ওই খালে পানি জমে থাকার কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো।”