নওগাঁর আত্রাইয়ে টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এতে যাত্রী পাচ্ছেন না ভ্যান সিএনজিচালকরা। বিপাকে ফুটপাতের দোকানিরাও। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলা রেলস্টেশন আমতলী এবং সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকায় যাত্রীর আশায় বসে থাকতে দেখা যায় অনেক চালকদের।
তিন দিন ধরে উপজেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা ও মাঝারি আবার কখনও ভারী বর্ষণের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নতুন বাজার, স্টেশন বাজার, আত্রাই বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কিছু দোকান খোলা থাকলেও নেই ক্রেতা। বৃষ্টির কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরাও পড়ছেন বিপাকে।
নওগাঁ-নাটোর মহাসড়কের আমতলী স্ট্যান্ডে যাত্রীর আশায় বসে থাকা অটোরিকশা চালক ওমর ফারুক বলেন, “তিন দিন ধরে টান বৃষ্টি হচ্ছে। আমি এক ট্রিপে ৭০০ টাকা উপার্জন করেছি। ঠিকমতো ভাড়া না হওয়ার কারণে আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। আমরা কী খাব আর গাড়ি মালিকদেরই বা কী দেব।”
অটোরিকশা চালক মুনিরুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কোনো লোকজন নেই। আজ ১০০ টাকা ভাড়া মেরেছি। যেখানে অন্যান্য দিন ৫০০-৬০০ টাকা ভাড়া হয়। আমার গাড়ির চার্জারের টাকাই উঠবে না।”
ফুটপাতে ফল বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, “প্রতিদিন দুপুরের মধ্যে ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিক্রি হয়। টানা বৃষ্টির কারণে তিন দিন ধরে ১ হাজার টাকারও বিক্রি করতে পারিনি।”
আত্রাই নতুন এলাকার চায়ের দোকানদার অমৃত বলেন, “অন্য দিনে যা বিক্রি হয় তার অর্ধেকও বিক্রি করতে পারিনি। সকালে বেকারির যে রুটি, কেক, সিঙ্গারা রেখেছিলাম, এখন সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাশের দোকান বন্ধ থাকায় ভেবেছিলাম বিক্রি ভালো হবে। কিন্তু এখন ভাবছি বন্ধ রাখলেই ভালো ছিল।”
ভ্যানচালক আসাদ বলেন, রাস্তায় কোনো লোকজন নেই। তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ভাড়া মারতে পারিনি। বাড়িতে আমিসহ পাঁচ সদস্য। আমার একার উপার্জনে সংসার চলে। এরকম টানা বৃষ্টি হতে থাকলে আমার পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে হবে।”