ক্লাসরুমের পলেস্তারাসহ ভিম ধস, ৫ ছাত্র আহত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
ক্লাসরুমের পলেস্তারাসহ ভিম ধসে পরে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়। ছবি : সংগৃহীত

ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসরুমের পলেস্তারাসহ ভিম ধসে পড়ে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। 

রোববার (৭ জুলাই) সকাল পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর পূর্ব সাতুরিয়াা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর ওই স্কুলের প্রায় ১৪৩ জন শিক্ষার্থী  ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

এ ঘটনায় ফয়সাল আজমের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ আজম, আবু বকর খানের ছেলে লিটন খান, হেলালের ছেলে রনি হাওলাদার, মানিক আকনের ছেলে আব্দুল্লাহ, আলমগীর হোসেনের ছেলে তামিম আহত হয়েছে। 

ঘটনার পর থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ, তারিম ও লিটন জানায়, আগে থেকেই কম বেশি পলেস্তারা ভেঙে পড়ত। রোববার ক্লাস চলাকালীন পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ ভিমসহ অনেক স্থানের পলেস্তারা ধসে পড়ে এবং বিকট শব্দ হয়। এতে পাঁচ শিক্ষার্থীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘান পায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা আতঙ্কিত হয়ে যায়।

নতুন ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত আর ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করবে না বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবক হানিফ, কবির ও সুলতান বলছেন, অনেক দিন ধরেই পলেস্তারা ভেঙে পড়ত। কিন্তু কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এভাবে হঠাৎ ভিম ভেঙে পড়ায় ওই স্কুলে আর কোনো পড়াশোনার পরিবেশ নেই। আজ বড় রকমের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত। বড় বড় ভিম শিশুদের মাথায় পরলে নির্ঘাত মৃত্যু হত। নতুন করে স্কুলের ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ওই স্কুলে আর বাচ্চাদের পাঠানো যাবে না।

এ বিষয়ে ৩ নম্বর পূর্ব সাতুরিয়াা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, “২০০৪ সালে পিডিটু প্রকল্পের আওতায় স্কুলের এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। দুই থেকে তিন বছর ধরে বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়া দেখে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলাম তারা মাঝে মাঝে এসে ঘুরে দেখে যেতেন। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা না করায় ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ভবনটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে।”

রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন জানান, ‘বিষয়টি শুনে ভিডিও কলে দেখেছি ওখানে যাওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষককে একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে এবং ওই কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে দিতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ওখানে না যায়। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করার পর ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”