মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাটে শাহ আমানত নামের একটি রো রো ফেরি এক পাশ কাত হয়ে ডুবে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু গাড়ি নেমে যাওয়ায় এক পাশে বেশি ভারী হয়ে ফেরিটি কাত হয়ে গেছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে রবিন নামের এক হকার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন লোড করে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করে রো রো ফেরি শাহ আমানত। তিন-চারটা গাড়ি নামার পর ফেরিটি এক পাশে হেলে কিছু অংশ ডুবে যায়। ফেরির ওপর বেশ কয়েকটি ছোট যানবাহন, কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল ছিল। সেগুলো সব পানিতে ডুবে গেছে।”
ঘটনাস্থল থেকে আরিচা ফায়ার স্টেশনের পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, “এখন পর্যন্ত পানির নিচ থেকে পাঁচটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। সেগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু গাড়ি নেমে যাওয়ায় একপাশে বেশি ভারী হয়ে ফেরিটি উল্টে গেছে। তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত করা হবে। এখন ডুবে যাওয়া গাড়ি ও লোকজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।”
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি জানায়, এই ফেরি উদ্ধার এবং কখন ফেরিঘাট সচল হবে, তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় উভয় পাশে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে সকাল ৯টার দিকে ১৭টি ট্রাক নিয়ে রো রো ফেরি আমানত শাহ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফেরিটি সকাল পৌনে ১০টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে হেলে ডুবে যায়।
ফেরিটিতে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ছিল বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান। ওই কর্মকর্তা বলেন, সকালে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন লোড করে রওনা দেয় রো রো আমানত শাহ। পরে তা পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করে। ঘাটে পৌঁছার পর ফেরি থেকে দুই-থেকে তিনটি যানবাহন নামে। এর পরপরই ফেরিটি অংশিক ডুবে যায়।