সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণঅনশন ও বিক্ষোভ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৬:১২ পিএম

সম্প্রতি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর সংগঠিত সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। বিভিন্ন জেলা থেকে সংবাদ প্রকাশ-এর প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদের চিত্র তুলে ধরা হলো।

জামালপুর

দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে  হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা শাখা।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে পৌর শহরের দয়াময়ী মোড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, সাম্প্রদায়িক মহলের সর্বনাশা চক্রান্ত প্রতিরোধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা ও সারাদেশে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে জেলা ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা। 

ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টাব্যাপী গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ সভাপতিত্ব করেন জেলা ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পণ্ডিত। এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ার, প্রবীণ সাংবাদিক উৎপল কান্তি ধর, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম, ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার সিংহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সরস্বতী রাজভর, যুবলীগ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রাতুল সাহা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গৌতম সিংহ সাহা, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মেলান্দহ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি আশীতোষ সাহা, তরঙ্গ মহিলা সমিতির সভাপতি শামীমা খানম ও রাসেল মিয়া প্রমুখ। 

এ সময় বক্তরা বলেন, এ দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এ দেশের মানুষ ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত নয়। এ দেশের মানুষ বাঙালি ও বাংলাদেশি। সকল ধর্মের মানুষকে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করতে দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা। 

বক্তারা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন ও সংখ্যালঘু আইন প্রণয়নের দাবি জানান তারা। 
পরে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশন করেন।

রাজবাড়ী

সম্প্রতি সময়ে কুমিল্লায় সনাতন ধর্মালবম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজায় হামলা এবং পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, লুটপাট,ধর্ষণ,সাম্প্রদায়িক সংসহিতার প্রতিবাদে গণঅনশন গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ  খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা। 

শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজবাড়ী রেলগেট এলাকার বটতলায় এই গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজবাড়ী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার রেলগেটে এসে শেষ হয়। 

গণঅবস্থানে বক্তারা বলেন, আমরা এই দেশের নাগরিক। এটাই আমাদের প্রধান ও প্রথম পরিচয়। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে আমরা আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পালন করব। সেখানে একদল উগ্র মৌলবাদী এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য তৎপর। সেজন্য সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। একই সাথে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গণঅনশনে ও গণঅবস্থানে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উজির আলী শেখ, ঐক্য পরিষদের সভাপতি গণেশ নারায়ণ চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কর্মকারসহ হিন্দু নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী পানি পান করিয়ে হিন্দু নেতাদের অনশন ভঙ্গ করান।

সাতক্ষীরা

নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ফেনী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দুর্গাপ্রতিমা,মন্দির, ইসকন মন্দির, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে  সাতক্ষীরায় গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে তারা এক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। 

গণঅনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, রাধাশ্যামসুন্দর মন্দিরের অধ্যক্ষ কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মণ্ডল, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মানবাধিকারকর্মী রঘুনাথ খাঁ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দুর্গাপুজা চলাকালে মহাঅষ্টমীর দিনে কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় মন্দিরের দুর্গাপ্রতিমার পাশে থাকা মাটির তৈরি হনুমানের ঊরুর উপরে পরিকল্পিতভাবে রেখে দেওয়া একটি কোরআনকে নিয়ে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনী, রংপুরসহ দেশের  কমপক্ষে ১৫টি জেলার মন্দির, প্রতিমা, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নোয়াখালির বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহুনীতে নবমীর দিন আটটি মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর ছাড়াও সেখানকার ইসকন মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কুমিল্লার নানুয়ার দীঘি মন্দিরে কুরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মূল আসামিকে ‘পাগল’ বলে প্রচার করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধিক্কৃত হয়েছে।

কালীগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদাহে ২০১২ সালে সহিংসতা, পরবর্তীকালে কক্সবাজারের রামু, নাসিরনগর, খুলনার রূপসা থানার শিয়ালীসহ বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতিভা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এত বড় সহিংসতা ঘটতো না।

বক্তারা বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম না রেখে সকল ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাসমূহ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানান।

পাবনা

সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে পাবনা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচি চলাকালে সংগঠনের সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক বিনয়জ্যোতি কুণ্ডুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক রণেশ মৈত্র, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদল ঘোষ, কেন্দ্রীয় যুব ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র সাহা অপু, জেলা শাখার সভাপতি অলক দাশ ও সিনিয়র সহ-সভাপতি কলিট তালুকদার এ সময় কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু। শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে জয়কালিবাড়ি মন্দিরে এসে শেষ হয়।

এদিকে একই দাবিতে জেলা হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে জোটের নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে পালন করতে সরকারি তথা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

ভোলা

দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, মন্দির ও মণ্ডপে হামলা, অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাঙচুর, নারী নির্যাতন, পূজারী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন কর্মসূচির করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

শনিবার বেলা ১২টায় শহরের কে-জাহান মার্কেট চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি এম ফারুকুর রহমান, সাবেক পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ অপু, ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী, সদস্য সচিব ধ্রুব হাওলাদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি শিবু কর্মকারসহ অন্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা বাংলাদেশে বারবার হয়ে আসছে। আর বারবারই অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা ধর্মের মূল বিষয়টা না জেনেই নানা রকম সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়ছি এবং নির্যাতিত-নিপীড়িত হচ্ছি। স্বাধীন দেশে ধর্মনিরপেক্ষভাবে বাঁচার ও মিলেমিশে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা আজ বিনষ্ট হয়েছে। তাই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘটা সাম্প্রদায়িক হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

নেত্রকোনা

ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার— এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই, সাম্প্রদায়িক মহলের সর্বনাশা 
চক্রান্ত প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা চাই— এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনায় গণঅনশন-গণঅবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা পূজা উদযাপন 
পরিষদ, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকনসহ বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে ঐক্য পরিষদ নেত্রকোনা জেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার সকালে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণঅনশন-গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট সীতাংশু বিকাশ আচার্য্যের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত সরকার মানিকের সঞ্চালনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা নির্মল কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত ঘোষসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

পটুয়াখালী

“হিংসা-বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়ান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সম্প্রীতি রক্ষা দিবস পালন করেছে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। 

শনিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন ও সম্প্রীতি রক্ষা দিবস পালন করা হয়।

জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ প্রিন্সের সঞ্চালনায় সম্প্রীতি রক্ষা দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান মোহন। মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন পটুয়াখালী আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত,সাংস্কৃতিক সংগঠন সুন্দরম সভাপতি প্রফেসর এম নুরুল ইসলাম, আবৃত্তি শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি উজ্জ্বল বোস, চেম্বার অব কর্মাসের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী হাফিজুর রহমান শবীর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শাহানুর হক।

সম্প্রীতি রক্ষা দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সুন্দরম,বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, পটুয়াখালী খেলাঘর আসর, পটুয়াখালী আবৃত্তি মঞ্চ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট,গ্রামীণ শিল্পী গোষ্ঠী,পায়রা নাট্য গোষ্ঠী, সুন্দরম নাট্যমঞ্চ,ইত্যাদি বাউল শিল্পী গোষ্ঠী,মরিচ বুনিয়া শিল্পী গোষ্ঠী,মুক্ত প্রাঙ্গণ, ধ্রুবতারা,সুন্দরম চিলড্রেন’স থিয়েটারসহ ২৫টি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে পটুয়াখালী আবৃত্তি মঞ্চ ও মুক্ত প্রাঙ্গণের শিল্পীরা প্রতিবাদী আবৃত্তি পরিবেশন করেন।