ছেলের মুক্তিতে আনন্দে কাঁদলেন বাবা-মা

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
মার্চেন্ট অফিসার সাব্বির। ছবি: প্রতিনিধি

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসনের টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের বাড়িতে এখন আনন্দের বন্যা। মুক্তির খবরে আনন্দ অশ্রুতে ভিজেছেন বাবা হারুন অর রশীদ ও মা সালেহা বেগম।

বাবা হারুন অর রশীদ বললেন, অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছেলেকে ছাড়া ঈদ ভালো কেটেনি। ঈদের দিন আমরা আনন্দ করতে পারিনি। টিভিতে যখন দেখলাম ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে তখন মনে আজই ঈদের দিন। সকালের দিকে ছেলে ফোন করে বলেছে, বাবা ভালো আছি। চিন্তা করো না।

মা সালেহা বেগম বললেন, ছেলে যখন ফোন দিয়ে বললো মা চিন্তা করো না, আমরা মুক্তি পেয়েছি, সবাই ভালো আছি। এ কথা শোনার পর যেন মনটা ভরে গেল। ঈদের দিন আনন্দ করতে পারিনি ছেলের চিন্তায় আর আজ মনে হচ্ছে আমাদের ঈদের দিন। যেদিন আমার ছেলে আমার বুকে আসবে, সেদিন আরও বেশি আনন্দ হবো।

সাব্বিবের বোন মিতু আক্তার বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আনন্দটা বেড়ে যাবে ভাই আমাদের কাছে এলে। তবে কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছি না।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসন নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করেছিলেন। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাসের পর ভর্তি হয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে ২০২২ সালের জুনে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহতে মার্চেন্ট অফিসার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সাথে কথা হয়নি।

উল্লেখ, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।