ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙ্গামাটি

রিকোর্স চাকমা, রাঙ্গামাটি প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ০৮:৫১ এএম

ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটক বরণে প্রস্তুত হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙ্গামাটি। চেনা রূপে ফিরবে শহরের টুরিস্ট স্পটগুলো। এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। ইতিমধ্যে হোটেল মোটেলগুলো পর্যটকদের আগাম বুকিং শুরু হয়েছে।

সিম্বল অব রাঙ্গামাটিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, ডিসি বাংলো, রাজবন বিহার, রাজবাড়ি, পলওয়েল পার্ক, কাপ্তাই লেক, সাজেক ভ্যালিসহ দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর জায়গাগুলো ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন পর্যটকরা। ঈদে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের বরণে সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে নিয়েছেন পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

ঝুলন্ত সেতুতে এখন অনেকটা ফাঁকা। পর্যটকদের নেই তেমন আনাগোনা। তবে  ঈদে ছুটিতে আবারও প্রাণ চঞ্চল হয়ে উঠবে সিম্বল অব রাঙ্গামাটিখ্যাত এই সেতুটি। হ্রদ ভ্রমণে পর্যাপ্ত টুরিস্ট বোট প্রস্তুত রয়েছে। নতুন করে রং করা হচ্ছে সেতু ও বোটগুলো। অন্যদিকে শহরের তবলছড়িতে অবস্থিত টেক্সটাইল মার্কেটগুলোও তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হ্রদ পাহাড়ের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

শহরের পৌরসভা এলাকায় আবাসিক হোটেল সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ শাকিল হোসেন বলেন, “প্রতিবছর ঈদে যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়, ঠিক সেভাবে এবারও আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৬০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। আশা করি আগামীতে আরও হবে।”

দোয়েল চত্বর এলাকায় আবাসিক হোটেল স্কোয়ার পার্কের ম্যানেজার সোহেল বলেন, তীব্র গরমের কারণে পর্যটক কমে গেছে।

সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের হিল ভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্র চাকমা বলেন, “গরমের কারণে এখন সাজেকে পর্যটক আসা অনেক কমে গেছে। তবে এবার ঈদের ছুটিতে আমাদের রিসোর্টে ৫০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। তবে কয়েক দিন পর আরও বুকিং বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে পর্যটকদের বরণে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।”

তবলছড়ি টেক্সটাইল মার্কেটের স্বত্বাধিকারী কৌশিক চাকমা বলেন, “মার্কেটে বেচাকেনা চলে পর্যটকদের আসা যাওয়ার ওপর নির্ভর করে। গরমের কারণে পর্যটক না আসায় বেচাকেনা একটু কমে গেছে। আশা করছি ঈদের ছুটিতে মোটামুটি ভালো বেচাকেনা করতে পারবো।”

পর্যটন বোট ঘাটের ইজারদার রমজান আলী বলেন, “প্রস্তুতি সব শেষ আমাদের বোটগুলোকে যথাযথভাবে সংস্কার করেছি। ঈদে টানা ছুটিতে আশা করছি ভালো পর্যটক হবে। পর্যটকদের জন্য আমার সব প্রস্তুতি নিয়েছি আশা করছি ভালো সার্ভিস দিতে পারবো।”

রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, “পর্যটকদের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ৭০ শতাংশ বুকিং পেয়েছি। আশা করছি বুকিং আরও বাড়বে। আমাদের আবাসিক, রেস্তোরাঁসহ লেক ভ্রমণের জন্য যে বোটগুলো আছে সবগুলোতে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি খুব ভালো একটা সময় পার করতে পারবো।”