অপহরণের অভিযোগে সিআইডির ৩ সদস্য আটক

দিনাজপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১, ০২:০৮ পিএম

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপিসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকালে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন—রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রংপুর সিআইডির এসপি আতাউর রহমান বলেন, “অনুমতি না নিয়ে তারা সেখানে (চিরিরবন্দর) অভিযানে গেছেন। একটু আগে তাদের আটকের বিষয়টি শুনেছি। তারা কেন সেখানে গেলেন, কাকে অপহরণ করলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চলতি মাসের শুরুর দিকে চিরিরবন্দরের লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ করেন পলাশ নামের এক ব্যক্তি।

লুৎফরের ভাগ্নে শামসুল আলম মানিক জানান, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চিরিরবন্দরে গিয়ে তার মামার বাড়িতে অভিযান চালায়। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।

মানিক আরো জানান, লুৎফর রহমানকে ফোন করে তার স্ত্রী-সন্তানের মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা নিতে মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলেন লুৎফর। এর আগেই বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে জানিয়ে রাখেন।

এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগীর স্বজনরা সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তারা প্রথমে রানীরবন্দর আসতে বলেন। সেখানে এলে তাদেরকে টাকা নিয়ে দশমাইল আসতে বলা হয়। আবার দশমাইল এলে বাশেরহাট আসতে বলে। পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি মিলে বাশেরহাট থেকে ওই তিন সিআইডি সদস্য আটক করে।

আটকের পর প্রথমে চিরিরবন্দর থানা, পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিন জন এখনও দিনাজপুর পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে।