ভোলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের দায়ে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৮ জেলেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নুর মোহাম্মদ (৪০), শাকিল (১৮), রিয়াজ (২০), শরিফ (২০), সজিব (২০), ইউছুফ (৩০), সালাউদ্দিন (৩০) ও আল আমিন (৩০)। আলাউদ্দিন (১৪) ও রাব্বি (১০) নামের দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা।
রোববার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম আল নোমান এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
এর আগে শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মেঘনা নদীর সামরাজ ও বেতুয়া এলাকা থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়।
অপরদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামার প্রস্তুতিকালে ৬টি মাছধরার নৌকাসহ সাড়ে ৩ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, শনিবার রাতে মৎস্য বিভাগের উদ্যেগে চরফ্যাশনের মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ২০০ মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধমে ৮ জেলেকে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন চটকিমারা খেয়াঘাট থেকে ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও আড়াই হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এ ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।