পাবনার ঈশ্বরদীতে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আরেফিন ইসলাম আরিফুর (২৬) নামের আরেক ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ জনে। নিহতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফুর। এর আগে একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুষ্টিয়া-নাটোর মহাসড়কের মুন্নার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিস কুমার সান্যাল বলেন,“ রোববার সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।”
নিহতরা হলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের জুমাইনগর গ্রামের আহসান হাবিবের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ (২৭), একই উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের মোল্লাবাজার গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইশতিয়াক আহমেদ আশিক (২৮) ও জুমাইনগর গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরেফিন ইসলাম আরিফুর (২৬)।
এদের মধ্যে দুর্ঘটনায় সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এবং আশিক রাজশাহী নেওয়ার পথে মারা যান।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার স্যানাল বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মৌসুমী পরিবহনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।