নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মহাবীর ব্যানার্জি (২৭) নামের র্যাবে কর্মরত এক উপপরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন উপজেলার চিকনমাটি আরডিআরএস এলাকার ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ। সন্ধ্যায় মহাবীর ব্যানার্জীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
অভিযুক্ত মহাবীর বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা র্যাবে কর্মরত। এর আগে তিনি ডোমার থানায় কর্মরত ছিলেন। মহাবীর দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কেউটপাড়া এলাকার কালী মোহন ব্যানার্জীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জেরে এক বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেছিলেন ওই নারী। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান সে সময়ে ডোমার থানায় থাকা এসআই মহাবীর। তদন্তের সুবাধে ওই নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
এরই মধ্যে ছয় মাস আগে ডোমার থানা থেকে এসআই বদলি হলেও মোবাইলে যোগাযোগ ছিল তাদের। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পূজার ছুটিতে এসে বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে মহাবীর। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, এর আগেও গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মহাবীর। বুধবার রাতের ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিচারে বসা হয়েছিল। কিন্তু মহাবীর বিয়েতে রাজি হননি। এ কারণে ওই গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন।
ডোমার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ বলেন, “পৌরসভার কাউন্সিলরের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি যাই। কথাবার্তায় মনে হয়েছে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। পুলিশ কর্মকর্তাকে ওই নারীর নিকটাত্মীয়রা আটক করেন। কোনো অভিভাবক না আসায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।”
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে আসামি মহাবীরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।”