দরবেশ সেজে নকল স্বর্ণের পুতুল বিক্রি

বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২, ০৪:২৩ পিএম

বগুড়ার শেরপুর ও সিংড়ায় নকল স্বর্ণের পুতুল দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মুলহোতা সোহেল রানা সুইট (৪২) নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সোহেল রানা নাটোর জেলার সিংড়া থানার দড়িপাড়া পিপুলসন গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।

বুধবার (৫ অক্টোরব) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ বলেন, “নকল স্বর্ণের পুতুল দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর শেরপুর থানায় একটি প্রতারণা মামলা হয়েছে। সেই মামলার সূত্র ধরে নকল স্বর্ণের পুতুলের মূল হোতা সোহেল রানা সুইটকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে আত্তাব আলী প্রামানিক (৬৫) মিলাদ দেওয়ার জন্য বগুড়া শাহ সুলতান মাজারে ফকির মিসকিনদের তাবারক খাওয়ান। সেখানে তাবারক শেষ হলে ওলিমা বেগম (৫০) নামের এক দরবেশ এসে হাজির হয়ে বিভিন্ন কৌশলে তার কাছ থেকে তাবারক চায়। পরে তিনি দোকান হতে কিছু খাবার এনে তাকে দেন। তিনি খায় আর দরবেশ ওলিমা বেগম তাকে ভাইয়ের মতো দেখতে এ কথা বলে তাকে বোন বলে ডাকতে বলেন। এরপর তার মোবাইল নম্বর নেন। 

ঘটনার তিন দিন পর তাকে মোবাইল করে বিভিন্ন কাথাবার্তা বলেন। পড়ে তার বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসেন। এভাবেই আশা যাওয়ার কয়েকদিন পর আশাদুল ইসলাম (২৬), এরশাদ হোসেন (৩২) ও মন্টু মিয়া (৪০) এসে তাকে জানায় একটি স্বর্ণের পতুল আছে। সেই পুতুল বিক্রয় করবে দুই লাখ টাকায়। পুতুলটি তার সামনেই হাত ভেঙে কিছু অংশ পরীক্ষর জন্য দেন আত্তাব আলীকে। পরে আত্তাব আলী স্বর্ণের দোকানে পরীক্ষা করে প্রকৃত স্বর্ণ জানতে পারেন। এরপর তিনি বাড়িতে আসেন। কিছুদিনপর ২ লাখ টাকা দিয়ে পুতুলটি ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জানতে পারে এটি নকল স্বর্ণের পুতুল।

এ বিষটি ওলিমাদের জানালে তারা বিভিন্ন তালবাহানাসহ হুমকি দিতে তাকে। পরে আত্তাব আলীর বাড়ি বিশালপুর ইউনিয়নের শেরপুর ও সিংড়া সিমানা এলাকায় হওয়ায় তিনি শেরপুর থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন। সেই মামলায় অভিযান চলিয়ে ৭ দিনের মধ্যে মূল হোতা সোহেল রানা সুইটকে গ্রেপ্তার করেন এস আই সাঈফ আহমেদ।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক সাঈফ আহমেদ জানান, মামলার সূত্রধরে জানতে পারি সোহেল রানা সুইট শেরপুর উপজেলাসহ আশ-পাশের প্রায় উপজেলায় এমন প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে প্রতারণা মামলায় জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।