টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে ৫০ বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে নামাজ ও শারদীয় দুর্গাপূজা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। উভয় ধর্মের লোকজন বলছেন দীর্ঘদিন ধরে তারা সম্প্রীতির সঙ্গেই নিজ নিজ ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৯০ বছর আগে এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এ মন্দিরের নামকরণ করা হয় নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি উঝা ঠাকুর কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির। মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মন্দিরের পাশেই প্রতিষ্ঠা করেন নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। এরপর থেকেই পাশাপাশি চলছে দুই ধর্মের কার্যক্রম।
নামাজি ও পূজারিরা বলেন, “আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ, আমাদের দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে কোনো দিন বিশৃঙ্খলা হয়নি। সবাই সম্প্রীতির সঙ্গে পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে নিজ-নিজ ধর্মের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এতে কোনোদিন কারো সমস্যা হয়নি।”
এলাকাবাসী জানায়, নির্ধারিত সময়ে আজান শুরুর আগেই থেমে যায় পূজার যাবতীয় কার্যক্রম। আজানের পর পরই নামাজিরা আসতে শুরু করেন মসজিদে। নামাজের পর আবারও শুরু হয় পূজার কার্যক্রম। মন্দিরে বেজে উঠে মাইক, ঢাক-ঢোলসহ উলুধ্বনি।
চৌধুরী বাড়ির সুপ্রিয় সাহা বলেন, “বহু বছর আগে থেকে এই মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশেই মসজিদ আছে। হিন্দু-মুসলমান আমরা একত্রিত হয়ে পূজা উদযাপন করি। আমাদের অনেক ভালো লাগে। এই দৃষ্টান্ত যদি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তবে, বিশ্ব থেকে দূর হবে সাম্প্রদায়িক হানাহানী।”