নাটোরে এ বছর ৩৮৯টি মন্দিরে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে প্রতিটি মন্দিরে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভসূচনা হয়। ঢাকের বাদ্য, কাঁসর আর ঘণ্টাধ্বনি ও ধুপধুনার গন্ধে প্রতিটি মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত।
শনিবার সকালে আমন্ত্রণ ও অধিবাসের পর আসনে প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয় দুর্গাপ্রতিমার আরাধনা। পূজা, আরতী, অঞ্জলি ও ভোগ রাগের মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের পূজার সমাপ্তি ঘটবে। এভাবে সপ্তমী, অষ্টমী, সন্ধি, নবমী ও দশমী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর গজে আগমন, ফল–গজে চ জলদা দেবী শস্য পূর্ণা বসুন্ধরা। শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর নৌকায় গমন, ফল নৌকায়াং শস্যবৃদ্ধি জলবৃদ্ধিশ্চ। তাই ভক্তরা মায়ের চরণে অঞ্জলি দিয়ে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করবেন যাতে সব অমঙ্গল দূর হয়ে তার নিজের, পরিবারের ও দেশের সবার মঙ্গল স্থাপিত হয়। প্রার্থনা করবেন যাতে দেশ তথা বিশ্ব থেকে সব ধরনের রোগ দূর হয়ে শান্তি স্থাপিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নাটোর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেড ভাস্কর বাগচী জানান, “এ বছর নাটোর জেলার ৭ উপজেলায় মোট ৩৮৯টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ১০০টি, নলডাঙ্গায় ৫৮টি, নাটোর সদরে ৭৯টি, বড়াইগ্রামে ৫২টি, লালপুরে ৪২টি, গুরুদাসপুরে ৩১টি এবং বাগাতিপাড়ায় ২৭টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রসাদ কুমার তালুকদার বলেন, “জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুর্গাপূজার আয়োজক, মন্দির কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট নেতারাসহ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নাটোর জেলা, উপজেলা শাখা, ইউনিয়ন শাখা ও ওয়ার্ড শাখার নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে সজাগ থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।”