পঞ্চগড়ের বোদা উপজলায় করতোয়া নদীর ওপারে থাকা বদেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০। নৌকাডুবির দ্বিতীয় দিনে আরও ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর মাড়েয়া, দেবীগঞ্জ, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, খানসামা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে করতোয়া নদী নৌকা দিয়ে পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথম দিনে ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে নারী ২৫, শিশু ১৩ এবং পুরুষ ১২। তাদের অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। এ ঘটনায় ২৫-২৭ জন এখনো নিখোঁজ।
জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব মহালয়া। অনুষ্ঠানে যেতে বোদা উপজেলার মাড়েয়া এলাকার একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। কিন্তু সেই নৌকায় উৎসবে মেতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলে পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের মাতম। রোববার দুপুরে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলে রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে প্রশাসন ও স্থানীয়রা।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
হাতেম আলী (৭০), শ্যামলী রানি (১৪), লক্ষ্মী রানি (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানি (২৭), দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), রুপাালি ওরফে খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫), অনবালা (৬০), সুনিতা রানি (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানি (২৫), বিষ্ণু (৩), সফলতা রানি (৪০), বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানি ওরফে শিমুলি (৩৫), উশোশি (৮), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়সী, প্রিয়ন্তী (৮), সনেকা রানী (৬০), ব্রজেন্দ্র নাথ (৫৫), ঝর্ণা রানী (৪৫), দীপ বাবু (১০), সূচিত্রা (২২), কবিতা রানী (৫০), বেজ্যে বালা (৫০), দিপশিখা রানী (১০), সুব্রত (২), জগদীশ (৩৫), যতি মিম্রয় (১৫), গেন্দা রানী (৫০), কনিকা রানী (৪০), সূমিত্রা রানী (৪৫), আদরী (৫০), পূষ্পা রানী (৫০), প্রতিমা রানী (৫০), সূর্যনাথ বর্মন (১২), হরিকেশর বর্মন (৪৫), নিখিল চন্দ্র (৬০), সুশীল চন্দ্র (৬৫), যুথি রানী (১), রাজমোহন অধিকারী (৬৫), রূপালী রানী (৩৮), প্রদীপ রায় (৩০), পারুল রানী (৩২) ও প্রতিমা রানী (৩৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর রায়।