জামালপুর সদর উপজেলায় একটি কাঁঠালগাছ কেটে বিক্রি করায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে সৎ বড় ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে সৎমা ও ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দেয়ানীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মো. আফিক (৩৫)। তিনি দেয়ানীপাড়া গ্রামের মৃত মো. আজাদ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন।
মো. আফিককে হত্যার অভিযোগে সৎমা মনজুরা বেগম (৫০) ও ছোট ভাই মো. মনজিলকে (২২) ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটক করেছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত আফিক একাই বসবাস করতেন। তার মা হাওয়া বেগম ছোট থাকতেই মারা যান। এরপর তার বাবা মনজুরা বেগমকে বিয়ে করেন। তার সৎমা কখনো তাদের বাড়িতে রাখতেন না। জমিজমার ভাগও দিতেন না। ফলে আফিক বিয়ে না করায় একা অন্যের জমিতে ছোট্ট একটি ঘর তুলে থাকতেন। আর বাবার বাড়িতে সৎভাই ও মা থাকতেন।
সম্প্রতি সৎমা ও ভাই মনজিল সবাইকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। এর মধ্যে আফিক বাড়িতে থাকা একটি কাঁঠালগাছ বিক্রি করেন। এই খবরে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা থেকে ওই সৎভাই ও মা বাড়িতে আসেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির সামনে সৎভাইয়ের সঙ্গে গাছ বিক্রি নিয়ে আফিকের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর মধ্যে সৎভাই প্রকাশ্যে আফিককে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সৎভাই ও সৎমাকে আটক করেন। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মৃত আজাদ শেখের বড় ছেলে রাফিক ইসলাম রাফি গত কয়েক দিন আগে নিজ বাড়ির একটি কাঁঠালগাছ কেটে বিক্রি করেন। এ নিয়ে সৎভাইয়ের ছুরির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সুবুজ রানা জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব খুনি মনজিল হোসেন কালু, তার মা মনজুয়ারা বেগম ও বোন ময়নাকে আটক করা হয়েছে।