বনজ কুমারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৩:০১ পিএম

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে এ আবেদন খারিজ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “সাবেক এসপি বাবুল আক্তার অনেকবার আদালত এসেছেন, জামিন চেয়েছেন। কিন্তু এই এক বছর চার মাসে তিনি কোথাও আদালতে নির্যাতনের কথা বলেননি। আদালত মনে করছেন, মিতু হত্যার মামলার আসামি হিসেবে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তিনি নতুনভাবে এই আবেদন দিয়েছেন। তাই আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।”

বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, জেলা ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম।

২০২১ সালের ১০-১৭ মে পর্যন্ত মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে পিবিআই জেলা অফিস ও মেট্রো রুমে আটকে রাখা হয়। একই বছরের ১২ মে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ সময় হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদের নামে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয় বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, ১৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পিবিআই। আগামী ১০ অক্টোবর মামলার তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাবুল আক্তার। তবে দিন যত গড়িয়েছে, মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।