ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেখতে মানুষের ভিড়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ০৪:০৪ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে র্নিমিত শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দুই দিনের জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনে আনা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ রেলটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব আলোকসজ্জা ও সুদৃশ্য ডিজাইন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আছে ছোট্ট পরিসরে ফুলবাগান ও পাঠাগার। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেখছেন রেলটি। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য রয়েছে এখানে। এ থেকে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস।

শনি ও রোববার (২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য জাদুঘরটি উন্মুক্ত থাকবে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা মাসের ১ আগস্ট থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে এই জাদুঘরের।

রেলটির প্রবেশমুখেই দর্শনার্থীরা পরিচিত হবেন বঙ্গবন্ধুর শৈশবের দিনগুলোর সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন, বেড়ে ওঠা, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে গণমানুষের প্রাণের নেতা হয়ে ওঠা এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তার অবদান। এ ছাড়া রয়েছে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম নির্যাতনের সব স্থিরচিত্র, মামলা ও কারাভোগের দলিল। ১৯৭১ যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এ থেকে জানা যাবে। কোচটিতে বড় এলইডিতে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, থিম সং এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গান প্রচার করা হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘর দেখতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, “এখানে এসে অনেক কিছু দেখতে পেলাম। খুব ভালো লাগছে। এ থেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।”

রেলের সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শামীম আহাম্মেদ জানান, এই জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। জাদুঘরটি একটি শিডিউল অনুযায়ী সব রেলস্টেশনে দাঁড়াবে এবং দুই দিন করে অবস্থান করবে। এভাবে সারা দেশ ঘুরবে রেলটি। ভ্রাম্যমাণ এই রেল জাদুঘর গোপালগঞ্জ থেকে উদ্বোধন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং স্বাধীনতার অবদান সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।