‘বিএনপি-জামায়াত তালেবানি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়’

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ০২:২২ পিএম

তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনের নামে দেশে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেছেন, “বিএনপি-জামায়াত ইতিহাস ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে তালেবানি সরকার কায়েমে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আন্দোলনের নামে দেশের মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। তারা চায় অস্বাভাবিক সরকার।”

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেনী শহরের একটি গণমিলানায়তনে জাসদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারকারী, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারকারী, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনাকারী বিএনপি-জামায়াতকে এ দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, “শেখ হাসিনার একার ক্ষমতায় থাকার বিষয় না, সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চির শত্রু পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির ধারকবাহক বিএনপি, জামাতসহ ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী, উগ্রবাদী শক্তিকে বর্জণ ও ধ্বংস করার দায়িত্ব নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “১৯৫২, ৭১ এ মীমাংসিত বিষয় অমীমাংসিত করার পাকিস্তানপন্থার রাজনীতিই দেশে রাজনৈতিক অস্থিতরতা, অশান্তি, সংঘাত, সংঘর্ষের মূল কারণ।”

ফেনী জেলা জাসদের সভাপতি নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হাসান জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, নুরুল আকতার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মির্জা মো. আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুন্নবী ও জসিম উদ্দিন বাবুল প্রমুখ।

শিরীন আখতার বলেন, “বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী, উগ্রবাদী শক্তিসমূহ এই বিরোধের রাজনীতির ধারক ও বাহক। তারা বাঙালির আত্মপরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংবিধান মানে না। তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহনীর গণহত্যা ও রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পক্ষে সাফাই গায়।”

প্রতিনিধি সভায় জানানো হয়, জাসদ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা দেশের সকল বিভাগে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা হচ্ছে। সভায় চট্রগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।