নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের পিটুনিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী।
জীবন উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, জীবনকে সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান জীবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লাইভ দেন জীবন। এর জের ধরেই পরের দিন সন্ধ্যায় উপজেলার আমতলী বাজারে আসাদুজ্জামান ও তার দুই ভাইসহ কয়েকজন মিলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে জীবনকে পেটান। এ সময় বাধা দেওয়ায় জীবনের বাবাকেও পেটানো হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে আসাদ ও তার দুই ভাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।