এসএসসি: প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে আটক ৩, বহিষ্কার ১১

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম

জামালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল করার দায়ে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ২ এবং ৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নোয়াখালীতে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে বড় ভাইকে কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন এসব ঘটনা ঘটে।

সিরাজগঞ্জ

চৌহালীতে এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় গণিত-২ পরীক্ষা দিতে আসা দুই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। খাষকাউলিয়া সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন চৌহালীর ফুলহারা গ্রামের ঈসমাইল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (১৯) ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আগদিগুলিয়া গ্রামের মোকাদ্দেছ আলীর ছেলে ফিরোজ আহমেদ (২২)। কেন্দ্র সচিব নুরুজ্জামান বাদশা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

অপরদিকে, একই দিনে চৌহালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অসাদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সচিব রাশেদুল হাসান জুয়েল।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কোর্টের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।

জামালপুর

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় নকল করার দায়ে ৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলার হাতিভাংগা এবি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ জন ও দেওয়ানগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ জনসহ মোট ৮ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা বলেন, “নকল করতে দেখে আমি খুব হতাশ।”

তিনি অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে পরামর্শ দেন।

কামরুন্নাহার শেফা বলেন, “যারা আগামী দিনের সোনার বাংলাদেশ গড়বে তারা যদি এভাবে নকল করে পাশ করে তারা জাতিকে কী উপহার দিবে।”

তিনি বলেন, “নকল বিরোধী অভিযান ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাবে। নকল প্রতিরোধে আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছি।”

নোয়াখালী

সুবর্ণচর উপজেলায় এসএসসির গণিত পরীক্ষায় ছোট ভাইয়ের প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বড় ভাই আলমগীর হোসেন (১৮)। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা। উপজেলার শহীদ জয়নাল আবেদীন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন উপজেলার চরবাটা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় সৈকত ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।